বিনোদন ডেস্ক : মহামারী চলাকালীন কনসার্ট থেকে কম অর্থ উপার্জন হচ্ছে দক্ষিণ কোরীয় ব্যান্ড বিটিএসের। তারপরও সামগ্রিকভাবে গত বছর বিটিএস সংস্থা হাইবের মুনাফার পরিমাণ বেড়েছে ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। হাইব বলছে, গেমস ও ডিজিটাল কমিকসের মতো জিনিস থেকে বিটিএসের আয় বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
গত বছর বিটিএস তাদের করপোরেট নাম পরিবর্তন করে হাইব রাখে। বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্ট নামেই আগে পরিচিত ছিল বিটিএস সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুনাফা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইবের প্রধান নির্বাহী পার্ক জি-ওন। জি-ওন বলেন, ‘তারা পরিকল্পনা করছেন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি নিয়ে। বিশেষ করে গেমস ও প্রকাশনার ব্যবসা নিয়ে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করবেন তারা। শিগগিরই মেটাভার্সের বিভিন্ন ফিচার নিয়ে মানুষের আরো কাছে যেতে কাজ শুরু করবে বিটিএস।’
গত বছর সংস্থাটির আয় বেড়েছে ১৬ কোটি ডলারের বেশি। বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী থেকে তাদের আয় বেড়েছে অভাবনীয়ভাবে। সংস্থাটির দাবি, বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়, বিজ্ঞাপন, গেমস থেকে তাদের আয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
কে-পপ অনুরাগীদের কাছে বিটিএস অন্য ধারার ব্যান্ড বলে পরিচিত। বিটিএসের বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহ করতে ভক্তরা বেশ আগ্রহী। তাই প্রতিনিয়ত পণ্যসামগ্রী বিক্রি বেড়েই চলেছে এ কোরীয় বান্ডের। নন-ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি চালু করার বিষয়টি নিয়ে বিটিএস ভাবছে, এটা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে বিটিএসের ভোক্তদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বেশি উন্নত হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। মোবাইল গেমস নিয়েও বেশ এগিয়ে আছে হাইব। বিভিন্ন গেম দিয়ে ভক্তদের মন জয় করার পাশাপাশি আয় করে নিচ্ছে তারা।
কভিড-১৯-এর কারণে কোরীয় ব্যান্ডটির কনসার্টের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাই ২০১৯ সালের তুলনায় কনসার্ট থেকে আয় কমেছে। ২০২০ সালে মহামারীর কারণে প্রায় ৪০টি কনসার্ট বাতিল করে বিটিএস। তাই বলে থেমে থাকেনি সাত সদস্যের এ দক্ষিণ কোরীয় ব্যান্ড। অনলাইনেই শো করে বেশ সাড়া ফেলেছে তারা।
গত বছরের নভেম্বরে লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি পারফর্ম করেছিল তারা। এটিই ছিল কভিড-১৯-এর পর তাদের প্রথম কনসার্ট। বর্তমানে কনসার্টের দিকে ঝুঁকছে আবার। এরই মাধ্যে তিনটি কনসার্টের প্রস্তুতি নিয়েছে বিটিএস।
২০১৩ সালের জুনে যাত্রা করেছিল সাত সদস্যের ব্যান্ড বিটিএস। মূলত হিপহপ সংগীত দিয়ে ভক্তদের মন জয় করলেও তাদের গানের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে সাহিত্য, ভালোবাসা ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো তাদের গানে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। বিটিএস ভক্তরা বিটিএস আর্মি বলে পরিচিত। সারা বিশ্বেই রয়েছে বিটিএসের অগণিত ভক্ত। বাংলাদেশেও বিটিএস বেশ জনপ্রিয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।