বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এবার ১৯টি সর্পিল ছায়াপথের দারুণ বিশদ ছবি প্রকাশ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ছবিগুলো জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপের (জেডাব্লিউএসটি) তোলা। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা তা এখন বিশ্লেষণ করছেন।
বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মিত জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ দুই বছর আগে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।
টেলিস্কোপটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অত্যন্ত সংবেদনশীল কিছু যন্ত্র, যার ফলে এটি হাবল টেলিস্কোপের চেয়েও পুরনো এবং আরো দূরের বস্তু দেখতে সক্ষম।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, জেমস ওয়েবের তোলা অসাধারণ ছবিগুলো সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্পদার্থবিদদের বেশ কয়েকটি নতুন ধাঁধার সামনে ফেলবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক টমাস উইলিয়ামস সাম্প্রতিকতম ছবিগুলো থেকে ডাটা প্রক্রিয়াকরণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এই ছবিগুলোতে খুঁটিনাটির মাত্রা চমকে দেওয়ার মতো, তবে তা ইতিবাচকভাবেই।
এর মানে হচ্ছে, আমরা হয়তো ছায়াপথের গঠন ও বিবর্তন, নক্ষত্র গঠিত হওয়া, তাদের জীবনচক্রসহ অনেক কিছু সম্পর্কে বর্তমান জ্ঞানের আরো কিছু ফাঁক পূরণ করতে পারব।’
ছবিগুলোতে গাঢ় কমলা ও লাল রঙের প্রেক্ষাপটে গ্যাস আর ধুলার স্পষ্ট স্তর দেখা যায়। জেমস ওয়েবের অবলোহিত আলোয় ছবি তোলার যন্ত্রের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। ছবিগুলোতে লাখ লাখ নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে বেশি পুরনো তারাগুলো রয়েছে ছায়াপথের মাঝখানে এবং সেগুলো নীল রঙের দেখাচ্ছে।
টমাস উইলিয়ামস যোগ করেন, ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠানোর এত কম সময়ের মধ্যে এত বিপুল ডাটা নিয়ে কাজ করাটা একই সঙ্গে একটি ‘সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’।
‘আমি মনে করি, ছবিগুলোই এর গুরুত্বের প্রমাণ। আমাদের এ পর্যন্ত দেখা ছায়াপথের এই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি এগুলো’, বলেন বিজ্ঞানী উইলিয়ামস।
‘ফিজিকস অ্যাট হাই অ্যাঙ্গুলার রেজল্যুশন ইন নিয়ারবাই গ্যালাক্সিস’ (পিএইচএএনজিএস) নামের একটি প্রকল্পে যুক্ত বিজ্ঞানীরা গত সোমবার ছবিগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করেন।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক মানমন্দিরে এই প্রকল্পের কাজ হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।