ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়া মানেই, আজ এটা খাওয়া যাবে না, তো কাল সেটা। কিন্তু জানেন কি, খাওয়া কমালেই যে ইউরিক অ্যাসিড কমবে তা নয়? বরং রোজের অভ্যাসে কিছু বদল আনলেই এই রোগকে জব্দ করা সম্ভব।
খাবার হজমের সময় ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটা প্রস্রাবের স্বাভাবিক উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বাড়লে কখনও কখনও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হয়। তখন গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। কিডনিতে পাথরও জমতে পারে এই সমস্যার কারণে।
দৈনন্দিন জীবনধারায় কোন কোন বদল আনলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে?
১) ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। বেশি ঝালমশলা দেওয়া মাংস, রেড মিট, প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া চলবে না। এই অভ্যাস ছাড়লে অনেকটাই সুরাহা হবে। পিউরিন আছে, এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন। পিউরিন ভেঙে গিয়ে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রেড মিট, সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন প্রকার ডালে বেশি মাত্রায় পিউরিন থাকে।
২) বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে, তা দেখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে তা শুধু ডায়াবিটিসের কারণ হয় না, তা ইউরিক অ্যাসিডকেও নিমন্ত্রণ করে আনতে পারে।
৩) জল খেতে হবে বেশি করে। জল কম খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া জরুরি। তবে হার্ট বা কিডনির রোগ থাকলে দিনে কতটা জল খাবেন, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।
৪) মদ্যপানের অভ্যাস আছে কি? ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। নিয়মিত মদ্যপান করলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে বাধ্য।
৫) ওজন বেশি হলেই কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে রোগা হতে হবে। জিমে না গেলেও বাড়িতে যোগাসন বা কার্ডিয়ো ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।