জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের একটি পরিবারের পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সিন্ধুকের কপাট খোলা হয়নি ২০০ বছরেও।
উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের শংকর বাড়ির এই রহস্যময় সিন্ধুক ২টি নিয়ে নানা রকম গল্প শুনা যায়। লোহার তৈরি প্রাচীন এই সিন্ধুকে কি আছে এমন কৌতূহলের কমতি নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। তবু রহস্যময় কারণে খোলা হয়নি এর কপাট। ঐতিহ্যবাহী শংকর বাড়ির নাম-ধাম ছড়িয়ে আছে পাশ্র্ববর্তী এলাকায়।
বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দা ভলাকুট ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পুরঞ্জিত বিশ্বাস জানান, ভলাকুট ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাস উচ্চ বিদ্যালয় ও ভলাকুট বিষ্ণু মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা আমার দাদা প্রয়াত ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাসের চাচা শংকর বিশ্বাসের নামে আমাদের বাড়িটির নামকরণ হয় শংকর বাড়ি।
বাড়ির পারিবারিক একটি মন্দিরের একপাশে সংরক্ষিত আছে দুটি লোহার সিন্ধুক। আমাদের পূর্ব পুরুষগণ এই সিন্ধুক ২টি ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করে গেছেন, আমরাও এটি খোলার চেষ্টা করিনি। এটা আমাদের পূর্বপুরুষদের আমল থেকে ২০০ বছর ধরে রহস্যাবৃত হয়েই থাকলো।
এই পরিবারের আরেক সদস্য পল্লী চিকিৎসক শ্রীজীব বিশ্বাস জানান, আমাদের বাবা-দাদাও এই সিন্ধুকে আসল রহস্য জানতেন না। তারা বলেছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা এক কালে এই সিন্ধুকে কাঁচা মুদ্রা রাখতেন। আমরা এতটুকু শুনেছি। আমরা কেউ সাহস করে খোলার চেষ্টা করি না। আমার বাবাও জানতেন না ঠিক কতবছর আগের এই সিন্ধুক, তবে তিনি বলে গেছেন তার বাবা ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাসের আমলেও এটি খোলা হয়নি। আমাদের দাদা ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাসের বাবা সুর্যমোহণ বিশ্বাস এই বাড়িতে প্রথম বসতি স্থাপন করেন ২০০ বছরের অধিক কাল আগে। আমাদের ধারণা তখন থেকেই সিন্ধুকটি এই বাড়িতে সংরক্ষিত আছে। শংকর বাড়ির সিন্ধুক, পুকুরের ঘাটলা, পূর্বপুরুষদের সমাধি মঠ, মন্দির এই বাড়িটির ঐতিহ্য বহন করছে।
এই বিষয়ে ভলাকুট ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাস উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য সেলিম তালুকদার বলেন, ছোট বেলা থেকে বাবার মুখে এই সিন্ধুকে গল্প শুনেছি। বংশপরম্পরায় শংকরবাড়ির সিন্ধুকটি কেউ খুলেনি।
একই গ্রামের বাসিন্দা ইনডিপেনডেন্ট টিভির অনলাইন ভার্সনের সিনিয়র সাবএডিটর লেখক সোহরাব শান্ত জানান, এটি ঠিক কত বছরের তা বাড়ির বাসিন্দারা কেউ জানেন না। তাদের ধারণা পুর্বপুরুষগণ কাঁচা মুদ্রা রাখতেন। এটি তাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষিত আছে। তবে বাড়ির বাসিন্দাদের মতে সিন্ধুক ২টি ২০০ বছরেরও অধিক কালের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।