এনবিআরের সাম্প্রতিক উদ্যোগ দেশের কর ব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সব ব্যক্তিগত এবং কোম্পানি করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। এটি এমন একটি মুহূর্ত যখন ডিজিটালাইজেশনের ধারায় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি করদাতাদের জন্য আরো সহজ ব্যবস্থা করার এই সিদ্ধান্তটি বেশিরভাগ নাগরিকের কাছে সমর্থন অর্জন করতে সক্ষম হবে।
Table of Contents
অনলাইন আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নতুন প্রক্রিয়া
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এনবিআর আগামী বছর থেকে অনলাইন আয়কর রিটার্ন জমার প্রক্রিয়াকে বাধ্যতামূলক করবে। এ সিদ্ধান্তের আওতায় সরকারি কর্মকর্তা ও বহুজাতিক কোম্পানির কর্মীদের জন্য এই ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ১৬ লাখ ব্যক্তি অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এটি একটি সাফল্যের দৃষ্টান্ত, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি রাখে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনলাইন আয়কর রিটার্ন জমার এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে করগ্রহণ প্রক্রিয়াকে সহজতর এবং দ্রুত করা। এতে যে শুধু সময় সাশ্রয় হবে, তাতেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।
কর ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও ভ্যাটের নতুন হার
সরকার আগামী অর্থবছরে ভ্যাট এবং অন্যান্য করের কাঠামোতেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য এবং শিল্প সরঞ্জামের উপর কর বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন কম্পিউটার, প্রিন্টার, রাউটার, বিমান ইঞ্জিন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ইত্যাদির উপর নতুনভাবে কর আরোপিত হতে পারে।
বর্তমানে এসব পণ্যের ওপর যে ভ্যাট আরোপিত হচ্ছে, তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার চিন্তাভাবনা চলছে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া
করপোরেট কর কমানোর পরিকল্পনার মধ্যেও ব্যবসায়ীরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করছেন যে, মন্দার কারণে তারা সরাসরি লাভের সুবিধা পাচ্ছেন না। সরকারের কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্তের বাস্তব প্রতিফলন তারা পাচ্ছেন না। অতীতে সরকারের কিছু পদক্ষেপ ‘শর্তসাপেক্ষে’ হলেও বর্তমানে করের শর্তগুলো শিথিল করার কোনও ইঙ্গিত নেই।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা
এনবিআরের এই উদ্যোগ, যা বর্তমান কর ব্যবস্থাকে উদ্ভাবনী দৃষ্টিকোণ থেকে উন্নত করবে, সেটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হতে পারে। তবে করদাতাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থিতিশীলতার জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তুলা জরুরি।
সম্প্রতিকালে, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি প্রয়োগ করছে, যা ব্যবসায়ীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই চাপের মধ্যে থেকে আসন্ন বাজেট রয়েছে সরকারের পরীক্ষা।
‘চট্রগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন, এটি সরকারী প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা’
FAQ: প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর
- কেন এনবিআর অনলাইন আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করছে?
- এনবিআর অনলাইন আয়কর রিটার্নের মাধ্যমে কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করতে চায়। এই উদ্যোগ ফলে সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে এবং কাগজপত্রের ব্যবহার কমানো যাবে।
- কোন ধরণের পণ্যের উপর নতুন কর আরোপিত হবে?
- কম্পিউটার, প্রিন্টার, রাউটার, বিমান ইঞ্জিন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, শিল্প রাসায়নিক এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের ওপর নতুন কর আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে।
- কিভাবে করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন?
- করদাতারা এনবিআরের ওয়েবসাইটে লগইন করে সহজেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এ বিষয়ে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
- কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া কী?
- ব্যবসায়ীরা সরকারের কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও, তারা বলেছেন যে বাস্তবিক সুফল পাচ্ছেন না। তারা সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে এবং এটি পেশাদার পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত নয়। বিষয়বস্তুর সঠিকতা সর্বোচ্চ পরিচ্ছন্নতা অনুসারে যাচাই করা হয়েছে তবে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বদা অফিসিয়াল উৎসের সাথে সরাসরি যাচাই করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।