স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে টরন্টোর ব্যয় বাড়ছেই। সর্বশেষ ব্যয় হিসাব করা হয়েছে ৩৮ কোটি ডলার। এ ব্যয় দুই বছর আগে আয়োজক শহর হিসেবে যখন টরন্টোর নাম ঘোষণা করা হয় তখনকার হিসাবের চেয়ে ৮ কোটি ডলার বেশি।
অটোয়ার কাছ থেকে আসা জিজ্ঞাসার জবাবে মেয়র অলিভিয়া চাউ ২৬ ফেব্রুয়ারি বলেন, আমরা যে স্বচ্ছতা বজায় রাখছি এবং বাস্তবতায় আছি সেটা আমরা কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের মূল্যস্ফীতির এই যে হার সে ব্যাপারে কেউই ধারণা করতে পারেননি।
সাম্প্রতিক ব্যয় হিসাব করার ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির অনিশ্চয়তাকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিটি কর্মীরা। পাশাপাশি হালনাগাদকৃত মূল্যের হিসাব, ভেন্ডরের দর প্রস্তাব এবং সুরক্ষা ও নিরাপত্তার আবশ্যকতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ১৫টি শহরের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত এই আসরে টরন্টোকে ছয়টি ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা যা ধারণা করেছিলেন তার চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি আছে এখানে।
ডেপুটি মেয়র মাইক কোল ২৬ ফেব্রুয়ারি বলেন, ব্যয় বেড়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু আমি মনে করি, টুর্নামেন্টটি নগরীর জন্য ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং আমরা এই শহরকে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে দিতে যাচ্ছি।
কানাডায় প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে টরন্টো। ২০২৬ সালের ১২ জুন টিম কানাডার প্রথম ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে এখানে বিএমও ফিল্ডে। ম্যাচের সূচি প্রকাশেল পর এ মাসের গোড়ার দিকে টরন্টো সিটি কর্মীরা পরিকল্পনা ও ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করতে শুরু করেন।
টরন্টো সিটি কাউন্সিলর জশ ম্যাটল একে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক মেয়র জন টরি যে চুক্তিটি দেখেছিলেন সেটি কেবল ভুলই ছিল না। একই সঙ্গে এটা আত্মঘাতীও। অন্য স্তরের সরকারের বিপরীতে টরন্টো এতে যে পরিমাণ অর্থ ঢালছে তা বিপত্তিকর।
আসরটি আয়োজনে প্রদেশের পক্ষ থেকে টরন্টোকে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ফেডারেল সরকারও নগরীকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। তবে তহবিলের আকার কী হবে এখনো তা চূড়ান্ত করেনি।
টরন্টো বাজেট প্রধান মেলি ক্যারল বলেন, এর ফলে অর্থনৈতিক যে সুফল আসবে সেটা বাস্তব। পরিমাপ করা সম্ভব নয় এমন যে সুবিধা আছে তার মধ্যে একটি হলো নগরীকে বিশ^ মঞ্চে আসন করে দেওয়া।
আগের হিসাব অনুযায়ী, টুর্নামেন্টটি টরন্টোর জিডিপিতে অবদান রাখবে ৩৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর প্রদেশের জিডিপিতে অবদান রাখবে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
টরন্টোর কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে আমরা আমাদের বিল জিডিপিতে পরিশোধ করতে পারি না। বিশ্বকাপজুড়ে যে বাড়তি রাজস্ব খরচ হবে তার বড় অংশ বহন করতে হবে প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকারকে। আমি মনে করি, আমাদের অংশীদারদের সহায়তায় এর প্রভাব কমিয়ে আনার একটা উপায় আমাদের বের করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।