আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম : ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। সুধা সদনে ফেরার পর কর্মসূচি দেওয়ার চাপের মুখে নেত্রী বলেছিলেন ‘এখন রাজনীতি করার সময় নয়।
‘এখন একমাত্র রাজনীতি আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহতদের দাফনের ব্যবস্থা করা।
নেত্রীর নির্দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহত-নিহতদের সারি দেখলাম। চোখের সামনে আদা চাচাসহ কয়েকজনকে শহীদ হতে দেখলাম। ওটিতে অপারেশনরত আইভি রহমানের হাঁটু পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন পা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। ডাক্তারদের পরামর্শে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে CMCH -এ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। সঙ্গে থাকা বন্ধুবর নাজমুল হাসান পাপনের কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুখচ্ছবি আজও মনে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে ভোরে মর্গে যাই ডেড বডির ব্যবস্থা করতে। ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তরে সরকারের অনীহার কারণে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে লাশ পেতে।
নেত্রী ঘণ্টায় ঘণ্টায় খোঁজ নিচ্ছিলেন। পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে রাতে স্বজনদের হাতে ২২টি লাশ হস্তান্তরে সক্ষম হই। লাশ প্রেরণের ব্যপারে আমার আত্মীয় FAHMI GROUP -এর এমডি এ আই চৌধুরী স্বপন ভাইয়ের সহযোগীতা ভুলবার নয়। পরদিন থেকে দীর্ঘ সময় হাসপাতালগুলোতেই কাটাতে হয় সেবা সুশ্রসা, চিকিৎসার দেখভাল, বিদেশ প্রেরণ সহ নানাবিধ কাজে। মমতাজ ভাই, প্রয়াত বজলু ভাই, ড. আওলাদ, জাহাঙ্গীর, মান্নানসহ বড় একটি দল নেত্রীর নির্দেশে সার্বক্ষণিক আহতদের সেবায় নিয়োজিত ছিল। সেদিন সরকারের টলটলায়মান অবস্থায় কর্মসূচি না দিয়ে দেশরত্ন প্রমাণ করেছেন মানবসেবাই সবচেয়ে বড় রাজনীতি।
লেখক : সেই সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।