জুমবাংলা ডেস্ক : আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু ক্রয়ের ধুম পড়ে গেছে। পছন্দের পশু কিনতে মানুষ ভিড় করছে শহর, বন্দর ও গ্রামের স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে।
এবার অসংখ্য বাহারি নামের গরুর কথা শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অন্যতম নামগুলো হলো- ‘কালো পাহাড়’, ‘টাইটানিক’, ‘সিনবাদ’, ‘মেসি’ ও ‘খোকা বাবু’। কোরবানির ঈদের পশুর হাট কাঁপাবে এই গরু গুলো। এবার আরেকটি বাহারি গরুর নাম শোনা গেল। গরুটির নাম ‘ভাগ্যরাজ’। তবে গঠন ও ওজনে বিশাল দেহের অধিকারী ভাগ্যরাজ। গরুটির ৫০ মণ ওজন।
‘ভাগ্যরাজ’ নামের গরুটির মালিক মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার খান্নু মিয়া। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির হাটে বিক্রি করার উদ্দেশে গরুটিকে বহু দিন ধরে লালন-পালন করছেন তিনি।
ছোট্ট একটি বসতঘর। তার পাশেই গোয়াল ঘর। এখানেই থাকে ভাগ্যরাজ। ১০ মাস আগে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকায় ষাঁড়টি কেনেন নান্নু মিয়া। তার প্রত্যাশা ৫০ মণ ওজনের গরুটি ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা দাম পাবেন তিনি। প্রতিদিন ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে নান্নু মিয়া, তার স্ত্রী পরিষ্কার বেগম ও মেয়ে ইতি ভাগ্যরাজকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সকাল থেকেই ভাগ্যরাজের জন্য খাবারের উপকরণ তৈরি করা, গোসল করানো, খাওয়ানোসহ সবকিছুই দিনভর ধাপে ধাপে চলতে থাকে। আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির হাটে তোলা হবে ভাগ্যরাজকে, তাই যত্নের কমতি নেই। নান্নু মিয়ার পরিবারে ব্যস্ততা বেড়েছে বেশগুণ।
চিড়া ,কলা, আপেল, মাল্টা, বেলের সরবত, ইসুবগুলের ভূষিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরির পর ভাগ্যরাজকে সকালে প্রথমে গোসল করানোর পর খড় খাওয়ানো হয়। এরপরই ফল দেয়া হয় ভাগ্যরাজকে।
নান্নু দাবি করেছেন,, ভাগ্যরাজই এবার দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু।
নান্নু মিয়ার স্ত্রী পরিষ্কার বেগম বলেন, আমি আশা করছি যাতে এটা বিক্রি করে উপযুক্ত টাকা পাই।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দাবি, হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ভাগ্যরাজ নামের এই গরুটিকে কোন হরমোন ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজার পাশাপাশি ও বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, এই গরুতে কোনো রকম স্টেরয়েড কিংবা হরমোন ব্যবহার করা হয়নি। আমরা তাকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে বলেছি।
জানা গেছে, নিরাপত্তা দিতে ভাগ্যরাজকে নজরদারিতে রেখেছে সাটুরিয়া পুলিশ।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, আমরা নিরাপত্তার সার্বিক ব্যবস্থা করেছি। কোনো ধরনের সমস্যা নেই।
গত কোরবানির ঈদে ‘রাজাবাবু’ নামের হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ২ হাজার ২০১ কেজি ওজনের একটি গরু পালন-পালন করেছিলেন নান্নু মিয়া। সেই গুরুটি সুনামগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা বিক্রয় করে গোটা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। এবার ২ ভাগ্যরাজের ওজন ২ হাজার কেজি। এখন দেখা অপেক্ষা গুরুটি কোরবানির হাটে কত টাকায় বিক্রি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।