জয়া আহসানের বয়স কত? এমন প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে দর্শকের মনে। ভক্ত-অনুরাগীদের এমন কৌতুহল মেটাতে সাংবাদিকরাও আসল বয়স জানতে চেয়েছেন বার বার। আর প্রতিবারই হাস্যকর জবাব দিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই তারকা। তার জবাবে দর্শকও মজার ছলে বলছেন জয়ার নাকি বয়স বাড়ে না। তিনি চিরযৌবনা।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে জয়ার বিবাহ পূর্ববতী একটি ছবি। যখন জয়া আহসান নন, ছিলেন জয়া মাসুদ। সেই সাদা কালো ছবিতে বাঙালি সাজে দেখা মিলল জয়ার। পরনে শাড়ি, ছিমছাম গয়না। চুলে খোঁপা। সেই ছবিটির সাল স্পষ্ট নয়, তবে তা ১৯৯৮ সালের আগের সময়কার তা নিশ্চিত জয়ার নামের পাশে মাসুদ দেখা যাওয়ায়। জয়া সেই সময় জানিয়েছিলেন তার বয়স ২০ বছর। তখন দেখেই বয়স কমানোর অভ্যাস জয়ার।

যদিও নায়িকাদের বয়স নিয়ে ‘ঢাক ঢাক গুড় গুড়’ বরাবরের। এই তো সেদিন মালাইকা আরোরা ৫০তম জন্মদিন নিয়ে কত কাণ্ডই না ঘটে গেল। এবার আলোচনার কেন্দ্রে জয়া একটা সময় উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ ছিল জয়ার জন্ম ১৯৭২ সালের ১ জুলাই। জয়া জানিয়েছিলেন সেই তথ্য ভুল। নায়িকার হিসাবে তার জন্ম ১৯৮৩ সালের ১ ফের জুলাই। ২০১৯ সালের এক সাক্ষাৎকারে জয়া আহসান জানিয়েছিলেন তার বয়স ‘৩৭ বছরের একদিনও বেশি নয়’। সেই হিসাবে অভিনেত্রীর বর্তমান বয়স ৪৬ কিংবা ৪৭।
এক নেটিজেন লেখেন, ‘এইখানেও বয়স কমেয়েছিলেন। তখন কমপক্ষে ২৭-২৮ ছিল। সাজ্জাদ শরিফের ওয়াইফ শাওন আপার ক্লাসমেট তিনি। সে হিসাবে ৫৩’। আরেকজন লেখেন, ‘৮৩ তে জন্ম আর ৯৮ তে বিয়ে? চাইল্ড ম্যারেজ?’ হ্যাঁ, জয়ার হিসাব মতো চললে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে সেরেছিলেন তিনি।নীচের ছবিটি ১৫ বছরের জয়া মাসুদের, এমনটা বিশ্বাস করতে না-রাজ নেটিজেনরা। তবে অনেকেই জয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আপনারা একজন গুণী শিল্পী হিসেবে তার কাজ দেখতে পারেন বয়স না।’
বয়স বিতর্কে জয়াও অতীতে জানিয়েছেন,‘আমি প্রথম ও শেষবারের মতো সবার উদ্দেশে বলতে চাই: বয়স নয়। একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত তার কাজে।’ জয়া বারবার প্রমাণ করে দিয়েছেন, বয়স তার কাছে শুধুই একটা সংখ্যা। নিজের অভিনয় গুণ আর পরিশ্রমের জেরে তিনি দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



