জুমবাংলা ডেস্ক : ৩ বছর বয়সের ‘মাশাআল্লাহ’র ওজন ২৭ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টির নাম আদর করে রাখা হয় ‘মাশাআল্লাহ’। নিজ সন্তানের মতই লালন পালন করেছেন তার মালিক। তবে এখন তাকে আর একা সামাল দিতে পারেন না মৌলভীবাজারের কৃষক বদরুল ইসলাম। তাকে সামাল দিতে এখন প্রয়োজন লাগে ৬ জন মানুষের। সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার দিয়ে কোনো ধরনের রোগ বালাই ছাড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২৭ মণ ওজনের এই ষাঁড়টিকে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৬ নম্বর একাটুনা ইউনিয়নের বালিগাঁও শ্যামলাবাজার গ্রামের বাসিন্দা কৃষক বদরুল ইসলামের নিজ বাড়িতে গাভীর বাচ্চা থেকে জন্ম এই ষাঁড়টির। বর্তমানে ষাঁড়টির বয়স ৩ বছর। উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১০ ফিট। ওজন প্রায় ২৭ মণ। এই সময়ে গবাদি পশুর খাবারের দাম অনেক চড়া।
খাবারের দাম বাড়ার অজুহাতে ব্যাপারীরাও বাড়িয়েছেন গরুর দাম। এমন পরিস্থিতিতে খামারিরাও ভালো দামের প্রত্যাশায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত। ধারণা করা হচ্ছে জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের গরু, যা এবার কোরবানির হাটে উঠবে। তাই ষাঁড়টিকে এক নজর দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
কৃষক বদরুল ইসলাম বলেন, তিন বছর ধরে সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার দিয়ে গরুটাকে এত বড় করেছি। প্রতিদিন এর গোসল করা থেকে শুরু করে সব কিছু নিজেই দেখভাল করি। ষাঁড়টি সম্পূর্ণ দেশিয় খাবার খায়। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এর লালন-পালনে খরচ বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে হাটে নিয়ে গেলে এর দাম হবে ১৫ লাখ টাকা।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় মোট ৮৪ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। খামার রয়েছে ৫ হাজার ৩৬৯টি। কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার ৫৪২টি গবাদিপশু। আর ঘাটতি রয়েছে ১৪ হাজার ৭৩০টি। ঘাটতি যেগুলো রয়েছে, সেগুলোকে ঘাটতি বলা যাবে না। কারণ, কোরবানির জন্য যে ঘাটতি রয়েছে তা ব্যক্তিগতভাবে লালন করা গবাদি পশু দ্বারা পূরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।