জুমবাংলা ডেস্ক : ৩০ বছর আগের গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে বর্তমান গ্র্যাজুয়েটদের অনেক পার্থক্য বলে মন্তব্য করেছেন আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ৩০ বছর আগে আমি আমার বাবার সঙ্গে ব্যবসা করতাম। তখনকার গ্র্যাজুয়েটদের মান এবং এখনকার গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে অনেক পার্থক্য।
আপনারা ভালো কাজ করছেন। আমার মনে হয়, ভালো শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব প্রশিক্ষণ দরকার। সম্প্রতি এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আহসান খান বলেন, আজকের দিনে একজন গার্মেন্টসের ম্যানেজারের বেতন একজন মাস্টার্স ডিগ্রিধারী ম্যানেজারের থেকে বেশি। বাংলাদেশ এমন একটা অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে উচ্চ শিক্ষিত মানুষের চাহিদা উত্তরোত্তর কমবে। তাহলে কি আগামীতে উচ্চ শিক্ষিত মানুষের চাহিদা থাকবে না? অবশ্যই থাকবে।
গার্মেন্টস সেক্টরে সমস্যা বাধলে আমরা মিড ম্যানেজমেন্টের শ্রমিক পাই না। এন্ট্রি লেভেলের শ্রমিক দিয়ে কারখানা চালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু শিক্ষিতরা যদি হাতেকলমে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে আসেন, তাহলে ভালো হয়।
তিনি বলেন, আমি কয়েকজন উপাচার্যের কথা শুনলাম। তারা এমপ্লয়িবিলিটি নিয়ে কথা বলছিলেন। এজন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। স্যার, আপনারা বেশি করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট করবেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট যদি ভালো হয়, আমরা একটি ভালো প্রজন্ম পাব, যারা বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখানে গ্রামীণফোনের সিইও আছেন, তিনি নিশ্চয়ই একমত হবেন—গ্রামীণ ব্যাংক বা গ্রামীণফোনের সিইও হতে গেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনারা যদি পরিশ্রমী মানুষগুলোকে কর্মক্ষেত্রে পাঠান তাহলে তারা ভালো করবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি, বেসরকারি— এ বিতর্ক শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। আমি আমেরিকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। আমি দেখেছি, সেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে শিক্ষার মান উন্নত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ভারত থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোয় পড়তে আসছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান যদি আইআইটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বা এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের মতো হয়, তাহলে আগামীতে অবশ্যই আরো বেশি শিক্ষার্থী বাইরে থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে মেধাবী মানুষ অনেক আছে। আমাদের প্রাণ-আরএফএলকে চালাচ্ছেন বাংলাদেশী গ্র্যাজুয়েটরা। তারাই আমাদের বিশ্বমণ্ডলে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশে আরো অনেক বহুজাতিক কোম্পানি হবে। বাংলাদেশী গ্র্যাজুয়েটরাই পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন।
বেকারদের কথা উল্লেখ করে আহসান খান বলেন, বাংলাদেশে যদি শিক্ষিত যুবকদের চাকরি না থাকে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। চলুন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাই। আরব দেশ বাংলাদেশ থেকে শুধু লো স্কিল ওয়ার্কার চায় না, তারা হাই স্কিল ওয়ার্কারও চায়। আজকের পৃথিবী হাই স্কিল ওয়ার্কারের জন্য বসে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।