জুমবাংলা ডেস্ক: তেত্রিশ হাজার পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজার জেলার সাবেক ক্রিকেটার এরশাদুল হককে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযোগ, মাছের ঘেরের আড়ালে রোহিঙ্গারদের দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে মাদকের ব্যবসা করতেন এরশাদুল। কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় মাদকের গডফাদার তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজাধানীর উত্তরা থেকে এরশাদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরশাদুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডিএনসির উত্তর অঞ্চলের উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদুল জানিয়েছে, পাইকারি দরে ইয়াবা কিনতে এরশাদুল মিয়ানমারে থাকা ডিলারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতেন এবং নৌপথে রোহিঙ্গাদের দিয়ে মিয়ানমার ইয়াবা চালান সংগ্রহ করতেন।
গ্রেপ্তারকৃত এরশাদুল জানিয়েছেন, তিনি একটি সরকারি কলেজ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি নিজেকে কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট টিমের সাবেক ক্যাপ্টেন বলে দাবি করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদুল আরও জানান, উখিয়ায় তাদের একাধিক মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। এই মাছের প্রজেক্টের আড়ালে সে ইয়াবার ব্যবসা করতো। মাছ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ম্যাগনেট ব্যবহার করে এবং আরও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঢাকায় ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসতো। এ কাজে তার একাধিক সহযোগী সদস্য রয়েছে এবং সে এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা।
এর আগেও এরশাদুল অনেকগুলো বড় চালান ঢাকার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট টিমের সাবেক ক্যাপ্টেন বলে দাবি করলেও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচ বছর আগে এরশাদুল জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। তবে তিনি অধিনায়ক ছিলেন না। তিনি জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।