স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে পাঁচ আসরে অংশগ্রহণ করে একবারই নকআউটে জায়গা করে নিয়েছিল মরক্কো। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে শেষবার নকআউটের টিকিট পেয়েছিল তারা। এবার আফ্রিকার দেশটি ‘এফ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিলো মরক্কো।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মরক্কো। এতে ৩৬ বছর পর নতুন করে ইতিহাস গড়ল আশরাফ হাকিমির দেশটি।
নকআউটের টিকিট পেতে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জয় বা ড্রয়ের সমীকরণের সামনে ছিল মরক্কো। এমনকি আগের তিন দেখায় দুইবার জয়ে অতীত ইতিহাসেও এগিয়ে ছিল আটলাস লায়ন্সরা। সেই ইতিহাসই যেন অটুট রাখল হাকিমির দল। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হেরে বিদায় নিলো কানাডা।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোল তিনটি হয়েছিল। যার সুবাদে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড নেয় মরক্কো। কানাডার গোলরক্ষক ডি-বক্সের বাইরে গিয়ে পাস দিতে গিয়ে ভুল করে বসেন। ফলে মরক্কোর হাকিম জিয়েচ ফাঁকা গোলপোস্টে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান। ১১তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত কানাডা। তবে ডি-বক্সে টাওন বুখানানের সামনে দিয়ে বল গেলেও পা লাগাতে পারেনি।
তবে কানাডার মতো ভুল ইতিহাস গড়ার দিনে করেননি মরক্কো। ২৩তম মিনিটে ইউসেফ নেসারির শট কানাডার গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আফ্রিকার দেশটি।
তবে ভাগ্যের জোরে ৪০তম মিনিটে ব্যবধান কমায় কানাডা। স্যামুয়েল আডোকুজবের শট আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মরক্কোর ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ার্ড। তবে বলের গতি পরিবর্তন হয়ে চলে যায় জালে। যার ফলে আত্মঘাতি গোলে ব্যবধান কমায় কানাডা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্ত দেখিয়েও গোলের দেখা পায়নি কানাডা। মরক্কোর রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ করে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কানাডা। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।
এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই পরের রাউন্ডে গেল দেশটি। এদিকে বেলজিয়ামের সঙে ড্র করেও পরের রাউন্ডে উঠে গেছে ক্রোয়েশিয়া। ফলে বিদায় নিয়েছে কেভিন ডি ব্রুইনের বেলজিয়াম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।