জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে করোনা ভাইরাসের রোগী বেড়ে চলেছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মরণব্যাধি এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছেন রোগীরা। তবে ব্যতিক্রমও আছে।
অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, তিন দিনে ৬৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। তাদের ‘পলাতক’ রোগী দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেন কিছু রোগী এভাবে চলে যাচ্ছেন, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীদের অভিযোগও আছে। তারা বলছেন, হাসপাতালের পরিবেশ তেমন ভালো না। কেউ বলছেন, ভয়-ভীতি-আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ মনে করেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অনেকে আস্থা পাচ্ছেন না।
রাজধানীতে করোনার জন্য নির্ধারিত চারটি সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা রোগী চলে যাচ্ছেন বা পালাচ্ছেন। এ ছাড়া ঢাকাসহ পাঁচটি বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকেও রোগী চলে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সুস্থ হওয়ার আগেই তাঁরা হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন।
রোগী পালিয়ে বা হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ছে ঝুঁকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা মুজাহেরুল হক বলেন, ‘হাসপাতালের বাইরে রোগী চলে যাওয়ার অর্থ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তথা সরকারের উচিত সমস্যার গভীরে গিয়ে কারণ অনুসন্ধান করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রতিদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কোভিড-১৯) একটি ছকে সারা দেশের রোগীদের হিসাব তৈরি করে। ছকের একটি ঘরে লেখা আছে, ‘হাসপাতাল থেকে পলাতক রোগীর সংখ্যা’।
এই ছক তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলেছেন, করোনার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল থেকে তাঁরা প্রতিদিন তথ্য পান। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) মাধ্যমে দেশের আট বিভাগের হাসপাতালগুলোর তথ্য পান। সর্বশেষ তিন দিনের হিসাব প্রথম আলোর হাতে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, ১১ থেকে ১৩ মে—এই তিন দিনে ঢাকার চারটি হাসপাতাল থেকে ৪৬ জন রোগী চলে গেছেন। রাজধানীর বাইরে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকেও রোগী চলে গেছেন। তিন দিনে এই সংখ্যা ২০ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।