৩ বন্ধু মিলে ২ স্কুলছাত্রীকে দীর্ঘক্ষণ!

বরগুনার বামনা উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া তিন ছাত্রীকে ধ’র্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে বামনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ধ’র্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বামনা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

শনিবার সকাল নয়টায় উপজেলার রামনা লঞ্চঘাট এলাকার সিকদার বাড়ির পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে একই বিদ্যালয়ের তিন স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষণের চেষ্টা করে ওই দুই স্কুলছাত্র।

নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীরা জানায়, তারা তিনজন মিলে গোপনে একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। ঘটনাটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানতে পারে। বিষয়টি সে তার এক বন্ধুকে জানায়।

গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পর ওই ছাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। ওই ফোনটি ফিরে পেতে তারা দুজন ছাত্রীদের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করে। ছাত্রীরা ওই টাকা দিতে রাজি হলে তাদেরকে টাকা নিয়ে রামনা লঞ্চঘাট এলাকার সিকদার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে আসতে বলে।

ছাত্রীরা তাদের মোবাইল ফোন ফেরত নিতে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সেখানে যায়। সেখানে ওৎ পেতে থাকা দুই শিক্ষার্থী তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে ধ’র্ষণের চেষ্টা করে।

ছাত্রীরা সংখ্যায় তিনজন হওয়ায় তাদের ধ’র্ষণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলে, ওরা ধ’র্ষণ করতে না পারলেও আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় ও তাদের ফোন দিয়ে কয়েকটি ছবি তোলে।

এই ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছেরে দেওয়া হুমকী দেয়। পরে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের কাজে বিষয়টি জানাই।

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম জানান, বিদ্যালয়ে এসে তিন শিক্ষার্থী তার পা ধরে কান্নাকাটি করে। পরে তাদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে ঘটনার সাথে জড়িত দশম শ্রেণির ছাত্রকে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কক্ষে আটক করে বামনা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

বামনা থানা পুলিশ বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ওই স্কুলছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে। অপর অভিযুক্ত ছাত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় রামনা খেয়াঘাট থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ এস এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে পুলিশ তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রীদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।