জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে মোট ১২ লাখ ১৭ হাজার ৬২ জন সরকারি চাকুরিজীবী রয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৯০ জন কর্মকর্তা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া এই মুহুর্তে দেশে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৮ পদ শূণ্য রয়েছে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে পৃথক তিনটি প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।
এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী চলতি সংসদের কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে ওই দিনের কার্যসূচি মুলতবি ঘোষণা করা হয়। বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন বলে ঘোষণা দেন স্পিকার।
সংসদে সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডি’র ব্যাখ্যাও দেন প্রতিমন্ত্রী। বিএনপি’র সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের দাফতরিক বিভিন্ন কারণে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পদায়ন করা হয়। জনস্বার্থে যেকোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রেই এটি একটি নিয়মিত পদায়ন হিসেবেই বিবেচিত হয়। সাধারণত বিশেষ কিছু কারণে কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওএসডি হিসেবে পদায়ন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিভিন্ন স্তরে মোট ২৯০ জন কর্মকর্তা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং সংযুক্ত অধিদফতর পরিদফতর দফতর, সংস্থায় বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ১৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যক্তি চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত আছেন।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৮ পদ শূন্য আছে। তিনি বলেন, ‘শূন্যপদ পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হযয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়মিত নিয়োগ হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১ হাজার ২৪৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ক্যাডারে, ৩৯ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ৪ হাজার ৬১২ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সর্বমোট ৫ হাজার ৮৫৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়। এছাড়া ৪০তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১ হাজার ৯১৯ টি বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং দপ্তরে ৮৮ হাজার ১২৩টি পদ সৃজনের সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৯ম থেকে ২০ তম গ্রেডের সর্বমোট ৮৬৪টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। আদালতে মামলা থাকায় নিয়োগবিধি কার্যক্রম শেষ না হয় এবং পদোন্নতি যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া কিছু শূন্যপদ পূরণ করা যায় না বলেও উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর হতে সরকারি চাকরি আইন কার্যকর করা হয়েছে। এর আওতায় প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান তৈরি করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর আওতায় সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা ২০১৯ এস আর ও নং ৩৮১-আইন/২০১৯ মূলে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে এবং ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
এই আইনের আওতায় উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ সংক্রান্ত অপর একটি বিধিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই আইনের অধীনে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও বিধি তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।