বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: গত বছর ফুলেফেঁপে উঠেছে ফোল্ডেবল ফোনের বাজার। এক বছরে ৭১ লাখেরও বেশি ফ্লিপ ও ফোল্ডেবল ফোন বিক্রি হয়েছে। ২০২০ সালের ১৯ লাখ ইউনিটের চেয়ে যা ২৬৪ শতাংশ বেশি। আগামী বছরগুলোয়ও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা। টেলিকম বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সাম্প্রতিক প্রাক্কলনে বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ ২ কোটি ৭৬ লাখ ইউনিট ফ্লিপ ও ফোল্ডেবল ফোন বিক্রি হবে। সম্মিলিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার বা সিএজিআর ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশে ফোল্ডেবল ফোনের বাজারমূল্য দাঁড়াবে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
বাণিজ্যিকভাবে ফোল্ডেবল ফোন আনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে স্যামসাং ও হুয়াওয়ে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ফোনের মাধ্যমে বাজারে নেতৃত্বের আসীনে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং। গত বছর ফোল্ডেবল ফোনের প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার হিস্যা ছিল স্যামসাংয়ের। গত বছর স্যামসাং কত ইউনিট ফ্লিপ ও ফোল্ডেবল ফোন বিক্রি করেছে সে উপাত্ত এখনো প্রকাশ করেনি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ২০২১ সালে ফোল্ডেবল ফোন থেকে আয় চার গুণ বেড়েছে।
আইডিসি বলছে, মোট স্মার্টফোন বাজারের খুব সামান্য অংশ নিয়েই আছে ফোল্ডেবল সেগমেন্ট। ২০২১ সালে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হিস্যা এ সেগমেন্টের। ২০২৫ সাল নাগাদ এ সেগমেন্টের বাজার হিস্যা ১ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস আইডিসির।
ফোল্ডেবল ফোনের বাজার হিস্যা অল্প থাকলেও ১ হাজার ডলারের বেশি দামের প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সেগমেন্টের এক-তৃতীয়াংশ ফোল্ডেবল ফোনের।
গত বছর অ্যাপল থেকে শুরু করে অপো, ভিভোর মতো অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিও এ সেগমেন্টে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি অ্যাপল, অপো ও শাওমি তাদের নিজ নিজ ফোল্ডেবল ফোনের নকশার পেটেন্ট নিয়েছে বলে সাম্প্রতিক বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ফোল্ডেবল ফোনের মধ্যে রয়েছে অপো ফাইন্ড এন, হুয়াওয়ে পি৫০ পকেট ও এমআই মিক্স ফোল্ড।
হুয়াওয়েও বাজারে তাদের নতুন একটি ফোল্ডেবল ফোন আনতে যাচ্ছে। এতে ব্যবহার হচ্ছে তাদের নিজস্ব কিরিন ৯০০০ ফোরজি চিপসেট। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৩-এর মতো ক্ল্যামশেল ডিজাইন থাকছে তাতে। আপাতত এটা স্পষ্ট, শুরুতে ফাইভজি ফোন আনছে না চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি। বাজারে দুটো ফোল্ডেবল স্মার্টফোন এনেছে মটোরোলা। বাজারে প্রচলিত মডেলগুলোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন থাকছে সেগুলো। প্রথমবারের মতো ক্ল্যামশেল ডিজাইনের ফোল্ডেবল ফোন এনেছিল মটোরোলা। তবে তৃতীয় কোনো ফোন আনছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।
চীনা ব্র্যান্ডগুলোর বাইরে গুগলও ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে কাজ করছে। তারা তাদের ফোল্ডেবল ফোনটিকে পিক্সেল ফোল্ড নাম দিয়েছে। সম্প্রতি আরেকটি খবরে বলা হয়, গুগল জাম্বুজ্যাক কোডনেমের দ্বিতীয় ফোল্ডেবল পিক্সেল ফোন নিয়ে কাজ করছে। কয়েক বছরের মধ্যে অ্যাপলও তাদের ফোল্ডেবল ফোন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।