আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজকাল নানা জাল পাতা হয়েছে চারিদিক জুড়ে। বুঝতে না পারলে তার ফল ভুগতে হতে পারে। যেমন হল এক যুবকের। খোয়ালেন ৪১ লক্ষ টাকা।
ফেসবুকেই আলাপ হয়েছিল ওই তরুণীর সঙ্গে। ক্রমে সেই বন্ধুত্ব গাঢ় হতে থাকে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে উন্নীত হয়। যুবক তখন ওই তরুণীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
মেয়েটি একদিন জানায় তার মা অসুস্থ। টাকার প্রয়োজন। চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছে সে। ফলে হাতে টাকাকড়ি তেমন নেই। প্রেমিকার মা অসুস্থ। টাকার প্রয়োজন। টাকা পাঠাতে দ্বিধা করেননি ওই যুবক। ৭০০ টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি।
ওটাই তরুণী চেয়েছিলেন। এরপর মাকে সুস্থ করার জন্য টাকা চাওয়া চলতেই থাকে। তবে তরুণী কথা দেয় চাকরি পেলেই সে সব ধার মিটিয়ে দেবে।
এরমধ্যে তরুণীর মা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তার মায়ের মৃত্যুও হয়। এসবই তরুণী জানাতে থাকে তার তথাকথিত হবু বরকে।
ওই যুবকও তাকে টাকা পাঠাতে থাকেন। এরমধ্যেই একদিন তরুণী আনন্দের সঙ্গে জানায় তার স্বপ্ন সফল হয়েছে। ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে সে। সে এখন দেশের একজন আইএএস আধিকারিক। এও জানায় বেঙ্গালুরুতে জেলাশাসক হিসাবে তার পোস্টিং হয়েছে।
চাকরি পেয়েও টাকা চাওয়া কিন্তু বন্ধ হয়নি। সেইসঙ্গে চলতে থাকে বিয়ের কথা। বিয়ের পর একসঙ্গে জীবন কাটানোর কথা।
স্বপ্নের এই জালে জড়িয়ে যেতে থাকেন কর্ণাটকের বেগালুরু গ্রামের বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী পরমেশ্বর হিপ্পারাগি নামে ওই যুবক।
একটা সময় অবশ্য টনক নড়ে ওই যুবকের। ততক্ষণে তিনি তাঁর ওই ফেসবুকে পরিচয় হওয়া প্রেমিকা কেআর মঞ্জুলাকে সাকুল্যে ৪১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ফেলেছেন।
হিপ্পারাগি বুঝতে পারেন যে ওই তরুণী তাঁকে কেবল ঠকাচ্ছে। বিয়েটিয়ে কিছু নয়, তাঁর কাছ থেকে এসব বলে আদপে টাকা হাতানো চলছে।
ওই যুবক স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যুবকের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন সাইবার ক্রাইম বিভাগের আধিকারিকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।