জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে মজনু সরকার নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ তুলে থানায় মামলা হয়েছে। নিহত মজনুর স্ত্রী আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরো চারজনকে।
বুধবার রাতে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার চুকুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কয়েস খানের ছেলে হুমায়ুন খান এবং একই গ্রামের হাসেন খানের ছেলে আল আমিন খান।
নিহত মজনু সরকার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চুকুরিয়া গ্রামের তারা মিয়া ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেছেন, মজনুর কাছ থেকে আল আমিন খান ৪৭০ টাকা ধার নেন। পাওনা টাকা চাওয়ায় দুজনের মধ্যে সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই দিন রাতে একই গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে জহুর উদ্দিন মাছ ধরার কথা বলে মজনুকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বানাইল ইউনিয়নের একটি পুকুর থেকে মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাদীর অভিযোগ, পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে মজনুকে হত্যা করেছে আসামিরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নবী হোসেন জানান, এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।