
জানুয়ারিতে পুড়ে ছাই হয়েছে সব। আগের বছরও আগুন লেগেছিলো। বারবার পুড়ে যায়, প্রতিবার নতুন করে শুরুর চেষ্টা। অন্য জায়গায় আয় ব্যয়ের হিসেব মেলেনা, তাই বাড়ি বদল করবেন, সেই উপায়ও নেই।
আগুন লাগার বিষয়ে ভুক্তভোগী জানান,তারা এখনো সেই আগুন লাগার কারণ জানেন না।বললেন সব পুড়ে যাবার পর রাস্তায় রাস্তায় হেটেছেন তারা।
ব্যয়ের হিসেবে দিয়ে একজন বস্তিবাসী বলেন,বাসা ভাড়া চার হাজার টাকা হলে কারেন্ট বিল,পানির বিল,গ্যাস বিলসহ প্রায় সারে পাচ হাজার টাকা হয়ে যায়।
বস্তিবাসীর জন্য শোভন আবাসনের কথা আগেই ভেবেছিলো সরকার। ভিত্তিপ্রস্তর হয়েছিলো ২০১৭তে। মিরপুর সেকশন ১১তে ১৪ তলা করে হবে ৫টি ভবন। ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর ভবনে থাকবে ১১৭টি করে ফ্ল্যাট। আর ৪ নম্বরে ৬৫টি।
প্রকল্প প্রকৌশলী মো. সাদেকুল ইসলাম রুবেল জানান,’প্রত্যেক ইউনিটের মাঝখানে ৬ ফিট করে যায়গা ফাকা রয়েছে। ৩দিক খোলা এবং আলো বাতাসের প্রচুর ব্যবস্থা আছে। পানির সুব্যবস্থায় নিজস্ব পাম্প ও শিশুদের খেলাধুলার জন্য মাঠ ও থাকবে এখানে।’
৪৯৯ বর্গফুটের একেকটি ফ্ল্যাটে দুটি বেড রুম, ডাইনিং ও ড্রয়িং রুম, টয়লেট, গোসলাখানা থাকবে। কথা ছিলো আগামী বছরেই এখানকার ফ্লাট পাবেন বস্তিবাসী। কিন্তু তা হচ্ছে না। কেননা, জুনে শতভাগ শেষ হচ্ছে না এই আবাসন প্রকল্প।
প্রকল্প পরিচালক, বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প,মো. মোস্তফা কামাল জানান, ‘আমাদের কাজের অগ্রগতি ৫০ ভাগ হয়েছে।যেহেতু ডিসেম্বর ২০২০ সালেরত মধ্যে প্রকল্পের কাজটা শেষ হচ্ছেনা,তাই আমরা ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে শেষ করার জন্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি।’
তিনি আরও বলেন,যারা আগে বসবাস করতো তাদের একটা লিস্ট প্রকল্প শুরুর আগেই করা হয়েছে।তাদেরকেই ভাড়া-ভিত্তিক বরাদ্দ দেয়া হবে।ভাড়া হবে প্রায় সাত হাজার টাকা।
সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআইডিএস ড. নাজনীন আহমেদ বলেন,’এক্ষেত্রে কাজটি অবশ্যই দূর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এই প্রকল্পগুলো যাদের জন্য তাদের ভয়েস কম,তারা প্রতিবাদ করে জানাতে পারেননা কোথায় তারা দূর্নীতির স্বীকার হচ্ছেন।’
প্রতিটি ফ্ল্যাট ১০ বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। দুই বছরে ৫ শতাংশ হারে বাড়বে ভাড়া। এই প্রকল্প শেষ হলে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, আট একর জমিতে ১৪ তলার ৮০টি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের। সেখানে জায়গা হবে ৯ হাজার ৪৬৭ পরিবারের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



