বিনোদন ডেস্ক: পানামা নথি মামলায় এবার ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে তলব করেছিল ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০১৭ সালে পানামা পেপার্স মামলা নাম জড়ায় সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর। পরে ফেমা আইনে ডাকা হয় বচ্চন বধূকে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দিল্লির লোকনায়ক ভবনে ইডির অফিসে হাজির হন ঐশ্বরিয়া। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করা হয় তাকে। ইডি দপ্তর থেকে বের হওয়ার পরেই ঐশ্বর্যকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম।
এ সময় দেহরক্ষীদের একটা বিরাট দলও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায়। অপেক্ষারত সাংবাদিকরা ওই ঠেলাঠেলির মাঝেই পানামা নথি বিতর্ক নিয়ে হাজারো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। যদিও মুখ খোলেননি বচ্চন বধূ।
জানা গেছে, ভেতরে বেশকিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে নায়িকাকে। এরমধ্যে তিনি কীভাবে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সেটি জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি তার বাবা-মা কীভাবে যুক্ত এবং ২০০৫ সালের জুন মাসে কেন শেয়ারহোল্ডার হয়েছিলেন ঐশ্বর্য তা জানতে চাওয়া হয়।
এদিন বিগত ১৫ বছরের বিদেশি পেমেন্টের সমস্ত রেকর্ড ইডির হাতে তুলে দেন বলিউড সুন্দরী। তবে, আবারও তাকে তলব করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ইডি।
এদিন পানামা কাণ্ডে ঐশ্বর্যের বক্তব্য রেকর্ড করে ইডি। কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা গচ্ছিত রাখার অভিযোগে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৯- এর আওতায় তার বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়। এর আগে নিজের বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে জমা দিয়েছেন অ্যাশ।
এর আগেও তাকে দু’বার তলব করা হয়েছিল। তবে, তখন ঐশ্বরিয়া হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন।
পানামা নথি হলো ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি, যা ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ বিদেশে কত পরিমাণ সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন, তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল সে সময়। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই বিদেশে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। নথিগুলির কিছু ১৯৭০ এর দশকের। পানামার একটি ল ফার্ম এবং কর্পোরেট পরিষেবা প্রদানকারী মোসাক ফনসেকা এই নথি তৈরি করেছিল।
পানামা নথিতে নাম থাকায় আদালতের নির্দেশে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে নওয়াজ শরিফকে। অমিতাভ বচ্চনসহ বেশ কিছু বিশিষ্ট ভারতীয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছিল ভারত সরকার।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও জি নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।