জুমবাংলা ডেস্ক : ১৯৭৩ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় মসজিদ ও মন্দির। আজান শুনে এলাকার মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসেন এ মসজিদে। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পূজা–অর্চনা চলে পাশের মন্দিরে। এভাবেই চলে আসছে পাঁচ দশক ধরে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন নিয়ে কখনো বিরোধ হয়নি দুই ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে। বরং দাঁড়িয়ে আছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষী হয়ে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নে উপাসনালয় দুটির অবস্থান। ওই ইউনিয়নের জুড়ী-কুলাউড়া সড়কের ভূঁয়াই বাজার এলাকায় এক পাশে ‘ভূঁয়াই বাজার জামে মসজিদ’। এর মাত্র ৩০-৪০ ফুট দূরে ‘ভূঁয়াই বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দির’।
স্থানীয় প্রবীণরা জানান, স্থাপনা দুটি নির্মাণ করা হয়েছে একই সময়ে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর ভূঁয়াই বাজার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন এলাকাবাসী। এ সময় মসজিদ ও মন্দিরের জন্য পাশাপাশি সাত শতক করে জমি রাখা হয়। ১৯৭৩ সালের দিকে ওই জমিতে বাঁশের খুঁটির ওপর ছনের চালা দিয়ে দুটি স্থাপনা গড়ে ওঠে। এরপর পাকা স্থাপনা নির্মিত হয়।
মন্দির কমিটির সভাপতি পীযূষ কান্তি দাশ বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একই সঙ্গে মসজিদ ও মন্দির নির্মাণ করা হয়। এ রকম পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির আর কোথাও আছে কি না, জানা নেই। এখানকার হিন্দু-মুসলমানরা মিলেমিশে আছি। মন্দিরে পূজার সময় মুসলমান ভাইদের নিমন্ত্রণ করি, তারা আসেন, নানাভাবে সহযোগিতাও করেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা নিয়ে আমাদের মধ্যে কখনো বিরোধ বা সংঘাত হয়নি।
মসজিদে নামাজ পড়ে বেরোনোর পথে কথা হয় মুসল্লি মাসুক মিয়া, জায়েদ মিয়া সহ কয়েকজন মুসল্লির সঙ্গে। তারা বলেন, মন্দিরে পূজা চলে। মসজিদে নামাজ আদায় করি আমরা। এতে কারও কোনো সমস্যা হয় না। এইটা আমাদের বহু দিনের ঐতিহ্য।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর বলেন, ভূঁয়াই বাজার ধর্মীয় সম্প্রীতির সাক্ষী হয়ে আছে। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি অটুট থাকুক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।