রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র আট দিন বাকি। অথচ বাজারে এখনো ৫ লিটার সয়াবিন তেলের কড়া সংকট চলছে। দীর্ঘদিন ধরে সংকট থাকলেও সমাধানে কোন পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ নেই। এর আগে যখন সয়াবিন তেল এর কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয় তখন লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
আমাদের দেশে সাধারণত রমজান মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছে। শুধু পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল নয় তার পাশাপাশি এক ও দুই লিটার সয়াবিন তেলের বোতল পেতে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবে ডাল, ছোলা এবং চিনির বাজারে স্বস্তি রয়েছে।
এসব পণের দাম কমতির দিকে রয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চিত্র অনেকটা এরকমই। তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছে ভিন্ন কথা। এই কৃত্রিম সংখ্যাটার পেছনে তাদের কোন হাত নেই। ডিলারদের বলা হলেও তারা চাহিদা অনুযায়ী সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। তারা সরবরাহ না করার ফলে সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে ব্যবসায়ীরা দাবি করছে যে, কিছু কিছু জায়গায় এক বা দুই লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে ৫ লিটার তেলের বোতল কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে খাসির মাংসের দামে কোন সুসংবাদ নেই। কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এক কেজি গরুর মাংস ক্রয় করতে ৭৮০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। যদি ব্রয়লার মুরগি ক্রয় করতে চান তাহলে কেজিতে ১৯০ টাকা খরচ করতে হবে। আর কেজিতে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সোনালি মুরগি। অন্যদিকে ডাল, ছোলা, এবং চিনির দাম রমজানকে সামনে রেখে গত সপ্তাহ এর সাথে তুলনা করলে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।