বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে ঝলক অব্যাহত ছিল আফগানিস্তানের। হঠাৎ–ই তারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোঁচট খেলো সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। রোডেশিয়ানরা ৫ বছরে প্রথমবার রশিদ খানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছে। যেখানে এক ওভারে ৬টি ওয়াইড ও একটি নো মিলিয়ে মোট ১৩ বলে ওভার সম্পন্ন করেছেন আফগান পেসার নাভিন-উল-হক।
জিম্বাবুয়ের কাছে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারের ম্যাচে আলোচিত হচ্ছে নাভিন-উল হকের সেই ওভারটি। ১৩ বলের ওভারে তিনি ১৯ রান খরচ করেছেন, মাঝে আবার সিকান্দার রাজার উইকেটও পেয়েছেন। ম্যাচের ১৫তম ওভারে আশ্চর্য সেই ঘটনার জন্ম দেন নাভিন। ৬টি ওয়াইড ও একটি নো মিলিয়ে ১৯ রান খরচ করে তিনি মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ জিম্বাবুয়ের হাতেই তুলে দেন।
নাভিনের করা আলোচিত ওভারটির আগে ৩৬ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৫৬ রান। কিন্তু এক ওভারেই ১৯ রান চলে আসায় রাজা-ব্রায়ান বেনেটদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। যদিও ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়েকে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। আফগানিস্তানের করা ১৪৪ রান তাড়ায় শেষ বলে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। তাদের পক্ষে বেনেট সর্বোচ্চ ৪৯ (৪৯ বল) ও ডিওন মায়ার্স ৩২ (২৯) রান করেছেন।
মজার বিষয় হচ্ছে– ১৩ বলে ওভার শেষ করা নাভিনই আবার আফগানদের পক্ষে ম্যাচের সেরা বোলার। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় তিনি ৩ উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়া রশিদ ২ ও মোহাম্মদ নবি ১ উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যান আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর সেদিকউল্লাহ অটল (৩) ও মোহাম্মদ ইশাকরা (১) দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। এরপর অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদী ও করিম জানাতরা ইনিংস মেরামতে নামলেও তাদের ইনিংস ছিল ধীরগতির। জানাত আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন ৪৯ বলে। এ ছাড়া অধিনায়ক শহিদী ১৫ বলে ২০ এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৩ রান করেন।
তবে আফগানদের পুঁজি চ্যালেঞ্জিং–ও হতো না যদি শেষদিকে মোহাম্মদ নবির ঝোড়ো ইনিংসটি না আসতো। ২৭ বলে তার ৪৪ রানে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তোলে আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচচ ৩ উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাবা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।