জুমবাংলা ডেস্ক: ‘যদি সফল হই, বয়স্ক সাঁতারু হিসেবে এটি হবে একটি বিশ্বরেকর্ড। বাংলাদেশের জন্য তা অত্যন্ত সম্মানজনক একটি ব্যাপার হবে। ’ সাঁতার শুরু করার আগে এভাবে দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় প্রকাশ করেন ৭০ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। বিশ্বরেকর্ড গড়তে গতকাল সোমবার সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিন ব্রিজের কাছে সুরমা নদীর চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেছেন তিনি।
২৮১ কিলোমিটার দূরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে গিয়ে শেষ হবে তাঁর সাঁতার।
ক্ষিতীন্দ্রকে সমর্থন জানাতে গতকাল ভোরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট ইউনিটের নেতারা চাঁদনীঘাটে জড়ো হন। উপস্থিত ছিল জেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশের কর্মকর্তাসহ সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। সকাল সাড়ে ৬টায় সাঁতার শুরু করেন ক্ষিতীন্দ্র।
জানা গেছে, ২৮১ কিলোমিটার যাত্রাপথে তিনি সুরমা নদী, ধনু নদ, ঘোড়াউত্রা নদী ও মেঘনা নদী পাড়ি দেবেন। এতে সময় লাগতে পারে ৭০ ঘণ্টা। সফলভাবে সাঁতার শেষ হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে।
সিলেট জেলা নৌ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আহমদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ পুলিশসহ সিভিল সার্জনের একাধিক টিম তাঁর সঙ্গে আছে। পানিতে যাতে তাঁর শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না হয় বা হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এ ব্যাপারে সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করবে। ’
যাত্রায় তাঁর সঙ্গে আছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘শুরুর পর ৫০ কিলোমিটারের বেশি পাড়ি দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছাতক পৌঁছেছেন তিনি। ছাতক পর্যন্ত তিনি স্রোতের আনুকূল্য পাননি। তাই শক্তি ও সময় বেশি লেগেছে। যাত্রাপথে তিনি শুধু স্যুপসহ তরল খাবার খাচ্ছেন।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র ১৯৫২ সালের ২৩ মে নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭৩ সালে তিনি দীর্ঘ সময় পানিতে থাকার জাতীয় রেকর্ড গড়েন। এর স্বীকৃতি হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে রুপার নৌকা উপহার দেন।
হাইকোর্টের আদেশে ৫ লাখ টাকা পেল অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।