আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২১ বছর বয়সী গ্যারির স্ত্রীর বয়স ৭৪ বছর। সম্প্রতি এই দম্পতিই উদযাপন করলেন চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীতে এসেও পরস্পরের প্রতি নেই কোনও বিতৃষ্ণা, বিরক্তিভাব।
বরং সুখের সংসারে তারা দিব্যি রয়েছেন। এমনকি দুজনেই দুজনের চোখে হারিয়ে যান।
২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। তারপর কখন যে চারটে বছর কেটে গেছে, টেরই পাননি। সুখে থাকলে বোধ হয় সময়ের হিসাবে থাকে না। আর ভালোবাসার তো কোনও বয়সই হয় না। বাঁধনহারা ভালবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন দু’জনেই।
একে অপরের মনের মানুষ। আর কী চাই! সমাজ কী বলল, তাদের নিয়ে কানাঘুঁষো হল কীনা, সে সবে দুজনের কেউই পরোয়া করেন না। ওসব নিয়ে ভাবার সময়ই নেই তাদের।
গ্যারির যখন ১৭ বছর বয়স তখনই ৭০ বছরের আলমিডার সঙ্গে তার দেখা হয়। এর পর আলাপ। তার পর সম্পর্ক। দুজনের বয়সের ফারাক ছিল সেই সময় ৫৪ বছর। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে দুজনের কেউই তেমন চিন্তিত ছিলেন না।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজেদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর কথা জানিয়েছেন গ্যারি ও আলমিডা।
যেখানে গ্যারি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য লেখেন, ‘তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত আমি জানতাম না কাউকে সত্যি এতটা গভীরভাবে ভালবাসা যায়! আমি আর তুমি প্রথম থেকেই তো উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে চলে এসেছি। একসঙ্গে সেসব কাটিয়েছি।
তোমার প্রতি আমার ভালবাসা সমুদ্রের থেকেও গভীর। তোমাকে আমি নিঃশর্ত ভালবাসি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এভাবেই তোমার যত্ন নিতে চাই। আমি প্রতিটা দিন কঠিন পরিশ্রম করছি আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যগুলো পূরণ হয়। তোমার পাশেই থাকতে চাই।’
ভালবাসা এখানে নিঃশর্ত। ভালবাসার সংজ্ঞাটাই এখানে একেবারে আলাদা। সমাজের চোখরাঙানি যেখানে সম্পর্কে বাধা দিতে পারে না। গ্যারি ও আলমিডা যেন এক নতুন পৃথিবীর বাসিন্দা। যে পৃথিবীতে গতে বাধা নিয়ম নেই। গ্যারি আর আলমিডা নিজেরাই নিয়ম বানান। নিজেদের ভাল রাখার নিয়ম তারা নিজেরাই ঠিক করে নেন। বয়স সেখানে একটা সংখ্যা। এর বেশি কিছু নয়।
সূত্রঃ জিনিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।