গত ২৬ জানুয়ারি লা লিগায় ভালেন্সিয়ার জালে ৭ গোল দিয়েছিল বার্সেলোনা। ১২ দিনের ব্যবধানে আবারও ভালেন্সিয়াকে গোল বন্যায় ভাসালো কাতালানরা। কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে ভালেন্সিয়াকে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা।
বৃহস্পতিবার ভালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় হ্যাটট্রিক উপহার দেন ফেররান তরেস। এছাড়া একবার করে জালের দেখা পান ফের্মিন লোপেস ও লামিনে ইয়ামাল।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে আলেহান্দ্রো বাল্দে চমৎকার পাস দেন বক্সে, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে নিচু শটে বল জালে পাঠান তরেস। নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে উদযাপন করেননি ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
সপ্তদশ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান তরেস। বক্সে রাফিনিয়ার পাসে কাছ থেকে ইয়ামালের শট গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফেরার পর জোরাল শটে জালে পাঠান তিনি। রেফারি শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও ভিএআরের সাহায্যে গোল দেন।
২৩তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফের্মিন। বক্সে দারুণ পাস দেন পেদ্রি। ছুটে গিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের সামনে থেকে পায়ের টোকায় বল অন্য পাশে নিয়ে জালে পাঠান ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ৩০তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তরেস। পেদ্রির ক্রসে রাফিনিয়া প্রথম স্পর্শে পাস দেন বক্সের বাইরে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তরেস।
দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে বার্সেলোনা। ৫২তম মিনিটে গোল পেতে পারতেন ইয়ামাল। তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের শট পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে তার শট ঠেকান গোলরক্ষক। ৫৯তম মিনিটে জালের দেখা পান তিনি। রাফিনিয়ার দারুণ নৈপুণ্যে বল পেয়ে তার শট প্রতিপক্ষের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
৭৬তম মিনিটে ভালেন্সিয়া গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় আরও বাড়েনি ব্যবধান। এগিয়ে এসে ওয়ান-অন-ওয়ানে দানি ওলমোর প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট বাকি থাকতে ইয়ামালের শট তিনি ঠেকান পা দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।