আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাঝেমধ্যেই এমন কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে আসে যেগুলি খুব সহজেই আকৃষ্ট করে সবার মন। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ছত্তিশগড় থেকে ঠিক সেইরকমই এক বিষয় উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের সবথেকে বড় কাপড়ের বাজার রয়েছে পান্ডারিতে। সেখানে মহালক্ষ্মী ক্লথ মার্কেটের একটি দোকানে প্রতিদিন একটি গরু উপস্থিত হয়।
জানা গিয়েছে, ওই দোকানটি পদম ডাকলিয়া নামের এক ব্যক্তির। পদম জানান, সাত বছর আগে তিনি ধনতেরাসের দিন দোকানে পুজো করছিলেন। সেই সময়ে এই গরু তাঁর দোকানে পৌঁছে যায়। পদম হলেন একজন গোভক্ত। এমতাবস্থায়, প্রতিদিনই তাঁর শাড়ির শোরুমে ওই গরুটি এসে উপস্থিত হয়।
শুধু তাই নয়, গরুটি দোকানের দরজা ঠিকমতো খুলে, তারপর ভেতরে এসে তার জন্য রাখা গদিতে বসে থাকে বলেও জানা গিয়েছে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর গরুটি নিজে থেকেই উঠে বাইরে চলে যায়। গত সাত বছর ধরে ঠিক এই একই ঘটনা ঘটে আসছে।
দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে বাছুর: জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে গরুটি ওইভাবে দোকানে আসে। শোরুমের লোকজন ওই গরুকে চন্দ্রমণি বলে ডাকে। পাশাপাশি, তার বাছুর চন্দ্রভানও তার সাথে প্রতিদিন আসে। কিন্তু সে বাইরে থাকে এবং তার মায়ের জন্য অপেক্ষা করে। বাছুরটি কখনোই দোকানে প্রবেশ করেনি।
আপেল খেতে পছন্দ করে গরুটি: এই প্রসঙ্গে শাড়ির শোরুমের মালিক পদম ডাকলিয়া জানান, গরুটি আপেল এত পছন্দ করে যে সবাই একে আপেল গরুও বলে। ভারতে গরুকে মা নামে ডাকা হয়। এটা তাঁর সৌভাগ্য যে তার দোকানে প্রতিদিন গোমাতা আসে। তাই, তাঁরা সেবা করার সুযোগ পান। তিনি আরও বলেন, গরুকে শুধু দুধের জন্যই উপযোগী মনে করা হয় না, বরং গোমূত্র, গোবর এবং এর ইতিবাচক শক্তিরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
গরুর মূত্র নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা: তিনি জানান, তিনি নিজে একটি গোশালা চালান। শুধু দুধ দেওয়ার জন্য গোয়ালঘরে গরুকে রাখা হয় না। তিনি গরুর মূত্র শুদ্ধ করার জন্য বিজ্ঞানীদের সহায়তাও নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।