জুমবাংলা ডেস্ক : ‘গতকাল বুধবার সকালের দিকে পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবে গেছে। তারপর থেকে ১২ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। এখনো আমার গাড়িটি উদ্ধার হয়নি। ফেরিঘাটের সংশ্লিষ্ট কেউ এখনো এই গাড়িগুলো উদ্ধারে এগিয়ে আসলো না। প্রায় চার বছর আগে দুটি কাভার্ডভ্যান কিনেছি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে। গাড়ি কেনার সময় ১২ লাখ টাকা লোনও করতে হয়েছে’।
বৃহস্পতিবার(২৮ অক্টোবর) সকাল ৯ টা ৪১ মিনিটে পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের ভাসমান কারখানা মধুমতির সামনে আলাপকালে এভাবেই আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন কাভার্ডভ্যান মালিক মো. হারুন অর রশিদ। ভুক্তভোগী মো. হারুন অর রশিদ মাগুড়ার শাকিলা উপজেলার আরুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
মো. হারুন অর রশিদ বলেন, গাড়ি আয় দিয়ে এই লোনের কিস্তি দেই আর সংসার চালাই। পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবে যাওয়ায় পরে আমার দুটি গাড়ি ভেসে যায় প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিণে। ১৪ ঘন্টা ধরে পানির নিচে ৮০ লাখ টাকা মূল্যের দুটি গাড়ি। আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে আমার গাড়ির চালক ফোন করে আমাকে বললো, ফেরিতে উঠেছি। এর কিছুক্ষণ পরই আনুমানিক ৯টার দিকে আবারও ফোন করে বললো, ভাই আমরা খুব বিপদে আছি। ফেরিতে থাকা সব ট্রাক চালকরা যে যার জীবন বাঁচানোর জন্য হুড়োহুড়ি করতাছে। আমার গাড়িটি ওই ফেরিটি পেছনে দিকে ছিল। ফেরিটি যখন ডুবে যায় তখন চালক গাড়িটি রেখে কোনমতে তার জীবন রক্ষা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।