জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান হরতাল–অবরোধকে কেন্দ্র করে নাশকতা এড়াতে রাতে চলাচলকারী ৮টি ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রাতে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে এমনিতেই যাত্রী কিছুটা কম হয়। আবার কিছু কিছু পথ এত নির্জন যে রাতে পাহারা দেওয়া কঠিন। এ ছাড়া নাশকতার আশঙ্কায় প্রায় প্রতিটি পথে যাত্রীবাহী ট্রেনের আগে পর্যবেক্ষণের জন্য ট্রেন (পাইলট) চালানো হয়। এতে ইঞ্জিনেরও কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রা বাতিল এবং এক জোড়া ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
রেলের মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসান বলেন, এটা বড় কোনো ঘটনা নয়। রাতে কিছু ট্রেনে যাত্রী পাওয়া যায় না। এ ছাড়া হরতাল-অবরোধও আছে। সার্বিক বিবেচনা করে কিছু ট্রেনের যাত্রা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। আর একটি ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর থেকে হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রেললাইন কেটে ফেলার একটি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাজধানীতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় মা, শিশুসন্তানসহ চার জন মারা যান। ১৬ নভেম্বর টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে, ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেসে এবং ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। গত ১০ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের সাতটি বগিই লাইনচ্যুত হয়েছিল। তখন একজন যাত্রী মারা যান, ৫০ জন আহত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।