জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নোয়াখালীতে চলছে ৮ নম্বর মহাবিপদসংকেত। জেলার চারটি উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, সুর্বণচর ও কবির হাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয় ঝুঁকিতে হাতিয়া ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা। সময় নিউজের প্রতিবেদক সাইফুল্যাহ কামরুল-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাউসার খসরু জানান, হাতিয়ার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি মেঘনা নদীর দক্ষিণ পাশে। আর দুটি নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে লাগানো উত্তর পাশে। প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলায় ২৪২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ও ৩০ হাজার গবাদিপশুকে আশ্রয় দেয়া যাবে। এ ছাড়া ১৭৭ ইউনিটের ৩৬০০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া জানান, ৮টি ইউনিয়নে ২৩০০ স্বেচ্ছাসেবী, ৬৯ জন গ্রামপুলিশ, ৯৬ জন ইউপি সদস্যসহ ২৪৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবী, ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ও ৩০ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১ নং হরনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতার হোসাইন জানান, এ ইউনিয়নে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, এতে ১২ হাজার লোককে আশ্রয় দেয়া যাবে। এদের জন্য শুকনো খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জেলায় ৪৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র, সিপিপি’র ৮ হাজার ৩৮০ এবং রেড ক্রিসেন্টর ৫৭০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত রয়েছেন। ১০২ মেডিকেল টিম প্রস্তুতসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রয়েছে। এছাড়া তিনটি মজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যার ধারণ ক্ষমতা ৩ লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন।
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চৌকস সদস্যদের সমন্বয়ে ফাস্ট এইড টিম, সার্চ ও রেসকিউ টিম এবং ওয়াটার রেসকিউ টিম গঠন করা হয়। ১ লাখ ৫০ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রয়েছে।
এছাড়া নগদ ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ৩৮২ মেট্রিক টন চাউল ও ২৪৩ বান্ডিল টিন মজুত করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যার নাম্বার ০১৭০০৭১৬৬৯৬। এছাড়া সকল সরকারি ও বেসরকারি সকল অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ১৮০ কি.মি : যে ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।