জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামে দুই তরুণীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকার পাঁচতলা ভবনের একটি বাসা থেকে ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটকরা হল- মো. দেলোয়ার (২৫) ও শাহীন আকতার (২৪)। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার ‘৯৯৯’ এ এক তরুণী ফোন করে জানায় তাকে এবং ফুফাত বোনকে বাকলিয়ার একটি বাসায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সে বাসার নাম-নাম্বার কোনো কিছুই জানে না। ‘৯৯৯’ থেকে ওই তরুণীর কলটি বাকলিয়া থানার ওসির সরকারি নাম্বারের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দিলে তিনি ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ভিকটিমরা কোনো সুনির্দিষ্ট ঠিকানা দিতে পারছিল না। তারা শুধু কল্পলোক আবাসিকের একটি বাসায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে বলে জানাতে পারে।
পরে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে তাকে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যের বর্ণনা দিতে বলেন। সেই বর্ণনার সূত্র ধরে কল্পলোক আবাসিক এলাকার ব্লক-জি এর এমিরেটার্স প্যালেসের ৫ম তলার ফ্ল্যাটটি শনাক্ত করা হয়। ওই বাসা থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করার পাশাপাশি জড়িত মো. দেলোয়ার ও শাহীন আকতারকে আটক করা হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি করত। করোনাভাইরাসের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ওই গার্মেন্টসের রেখা নামের একজন সহকর্মী অন্য গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার নাম করে মো. রাকিব নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সেই সুবাদে গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাকিব তার বন্ধু শওকত আলী খাঁন (৩৩) ও শাহিনা আকতার পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমদেরকে গত ৩ অক্টোবর রাতে কল্পলোকের এ বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।