৯ জন করোনা রোগীকে ভেন্টিলেটরে দেয়া হয়, তার মধ্যে ৮ জনই মারা গেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মোট ৯ জনকে ভেন্টিলেটরে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে ৮জনই মারা গেছেন।

রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দেশে করোনার রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ’র ফলাফল ভালো পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৭জন। এ নিয়ে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ জনে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ২ হাজার ৬৩৪ জনকে টেস্ট করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩১২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২ হাজার ৪৫৬ জনে।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৯ জন। এনিয়ে মোট ৭৫ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে লকডাউন ঠিকভাবে কাজ করছে না। প্রতিদিনই আক্রান্তরা নতুন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। যার কারণে কমিউনিটি সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সকালে মিলে একযোগে কাজ করলে এই যুদ্ধে আমরাই জয়ী হবো। এসময় তিনি আবারও সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।

অধিদপ্তর থেকে অনলাইনে ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যে ৭জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫জন পুরুষ এবং ২জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের আর নারায়ণগঞ্জে ৪ জন।

তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৪ শতাংশ মহিলা। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকায় ৪৪ শতাংশ এবং নারায়ণগঞ্জে ৩১ শতাংশ।

ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রয়েছে ৫২ জন। এ নিয়ে মোট আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৪০ জন। রবিবার আইসোলেশন থেকে ২৫ জন ছাড়া পেয়েছেন। এনিয়ে মোট ছাড়া পেলেন ৫৩৭ জন।

তিনি জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৩৮৯২ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৭৯জন।

এই সময়ের মধ্যে হটলাইনে ৫৯ হাজার ৭২ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান তিনি।