আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা মধুমিতা পাল। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলা করেন তিনি। সেই মামলা চালাতে টাকা জোগাড়ের জন্য নিজের রক্ত বিক্রির জন্য হাসপাতালে যান মধুমিতা। তবে তাকে রক্ত দিতে হয়নি। এই খবর জানাজানি হতেই উদ্যোগী হয় পুলিশ প্রশাসন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, অভিযোগকারী মধুমিতার বাড়ি পুরশুড়া থানার ভাঙামোরায়। তার অভিযোগ, স্বামী তার ওপর অনেকদিন ধরেই নির্যাতন করত। তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য দিনের পর দিন চাপ দিত। তাকে মারধর করত। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির তরফে সেই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন মধুমিতা। কিন্তু পুলিশের তরফে কোনোও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। প্রথমে পুরশুড়া থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী। এরপরে পাণ্ডুয়া থানায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো লাভই হয়নি। অগত্যা আদালতের দ্বারস্থ হন মধুমিতা। কিন্তু মামলার জন্য খরচ চালাবেন কী করে, তা ভেবে উঠতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত মামলার খরচ চালাতে আজ সোমবার তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে রক্ত দিতে যান মধুমিতা। কিন্তু হাসপাতালে থাকা কিছু কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ‘তারকেশ্বর হাসপাতালে কোনো ব্লাড ব্যাংক নেই। তাই কেউ রক্ত দিতে এলে আমরা নিতে পারব না।’
অ্যাম্বলেন্স চালকরা জানান, সরকারি হাসপাতালে এভাবে রক্ত দেওয়া যায় না। সেই কথাই ওনাকে বোঝালাম। শেষ পর্যন্ত রক্ত দিতে না পেরে হতাশ হয়েই ফিরতে হয় মধুমিতাকে।
মধুমিতা বলেন, ‘মামলা চালাতে তো টাকা লাগে। সবাই টাকা চায়। কিন্তু কোথা থেকে এত টাকা পাব? আমি একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি। মামলা চালিয়ে সংসার চালাতে পারছি না। কী করব বুঝে উঠতে না পেরে রক্ত দিতে চলে এসেছিলাম। ছেলেমেয়েরা বাবার বাড়িতে রয়েছে। আমার অনেক জিনিস শ্বশুরবাড়িতে রয়েছে। ওরা সব আটকে রেখেছে।’
মধুমিতা যেন শ্বশুরবাড়িতে থাকা জিনিসগুলো পেতে পারেন, সেজন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের ইতোমধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী, বিমানের মতিঝিল কার্যালয়ে অভিযান চালান’, শাস্তি দাবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।