জুমবাংলা ডেস্ক : বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালেয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১নং রুমে। তবে এ রুমে আর দেখা যাবে না তাকে। শিবির সন্দেহে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে আবরারকে। অভিযোগের তীর ছাত্রলীগের দিকে। আটক করা হয়েছে সংগঠনটির কয়েক নেতাকর্মীকে।
আবরারের রুমে ঢুকে দেখা গেল, চারটি টেবিল ও বেড। একটি টেবিলে খোলা রয়েছে তার খাতা। এতে অসম্পূর্ণ একটি অংক। সম্ভবত মারধরের জন্য ২০১১ নং রুমে ডেকে নেওয়ার আগে এই অংকই কষছিলেন আবরার। তবে অংকের সমীকরণটা আর মেলানো হলো না এই বুয়েট ছাত্রের। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নও রয়ে গেল অপূর্ণই।
জানা যায়, মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারের টার্ম পরীক্ষা থাকায় রবিবার বিকালেই বাড়ি থেকে আসেন। এরপর যান টিউশনিতে। সেখান থেকে ফেরার পরই তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ২০১১ নাম্বার রুমে। এ রুমেই অমানবিক আচরণ করা হয় তার সঙ্গে। শিবির সন্দেহে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়।
ঘটনা শুনে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে চলে এসেছেন স্বজনেরা। আবরারের সিটে বিছানো সবুজ চাদর জড়িয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করেন সেখানে। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। এক স্বজন কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘পড়ালেখা করার জন্য আবরার এখানে এসেছিল। এভাবে তারা তাকে মেরে ফেলতে পারল!’
এদিকে আবরারের ম’রদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফাহাদের হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই আঘাতের কারণেই তার মৃ’ত্যু হয়েছে। আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে ভোঁতা কোনো জিনিস যেমন, বাঁশ বা স্টাম্প দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তবে তার মাথায় কোনো আঘাত নেই। কপালে ছোট একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।