আপনার সন্তান যদি অটিজম এ আক্রান্ত হয় তাহলে পিতা-মাতা হিসেবে আপনার দায়িত্ব আরও বেশি। সাধারণত পিতা-মাতা তার সন্তানদের জন্য সেরাটাই করার চেষ্টা করেন। শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে ঘরে পোষা কুকুর থাকলে সুবিধা বেশি। এতে শিশুর জন্য আরও বেশি ভালোবাসা নিয়ে আসে কুকুরটি।
বাড়িতে পোষা কুকুর থাকলে খারাপ দিক তেমন নেই। বরং আপনার শিশুর জন্য অনেক ইতিবাচক ব্যাপার বয়ে নিয়ে আসবে। অনেক সময় নানা চাপের মুখে শিশু নার্ভাস হয়ে যেতে পারে। তার দুশ্চিন্তা বেড়ে যেতে পারে। সাথে সঙ্গী হিসেবে কুকুর থাকলে দুশ্চিন্তা থেকে শিশু বেড়িয়ে আসতে পারবে। কিছু স্বস্তি অনুভব করবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অটিজমে আক্রান্ত শিশুর উপর কুকুরের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে যা তাকে সাহায্য করে। এমনকি স্কুল বা বাহিরে গেলেও কুকুর সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকতে পারে। কুকুরের উপস্থিতি শিশুর মনে মমতা ও ভালোবাসা যোগাবে ও সে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
পাশে কুকুর থাকলে নিঃশর্তে ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি হয়। কুকুররা মানুষের সাথে তাদের সমস্ত যোগাযোগ করে কোনো কথা না বলে, তাই তারা অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অন্য এটি অনন্য সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে যা মৌখিক সংকেত জড়িত নয়। এটি আসলে অবিশ্বাস্য যে একটি কুকুর এবং একটি মানুষের মধ্যে কোন কথা না বলে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
এছাড়াও, যদি শিশুটি এমন কেউ হয় যার সত্যিই একটি রুটিন প্রয়োজন এবং রুটিন অনুযায়ী জীবন-যাপন করা প্রয়োজন, আপনি সর্বদা কুকুরের সাথে জড়িত কাজগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, যেমন খাবারের সময় তাকে খাবার দেওয়া বা এমনকি কুকুরটিকে দিনে একবার হাঁটার জন্য নিয়ে যাওয়া। এতে রুটিন রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।
আপনার শিশু পরিবারের পোষা কুকুরের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পাবে এবং তার একটি শক্তিশালী মানসিক বন্ধন তৈরি করবে। সাধারণত অটিজমে আক্রান্ত শিশুর বন্ধু-বান্ধব কম থাকে বা কিছুটা নিঃসঙ্গ জীবন-যাপন করে। পোষা কুকুর সর্বদা সঙ্গী হিসেবে থাকলে বন্ধু হিসেবে পাশে পাওয়া সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।