জুমবাংলা ডেস্ক: শীত এলেই হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে উষ্ণতার খোঁজে ছুটে আসে বিদেশি অতিথি পাখি। প্রতি বছরের মতো এবারও পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে মাগুরা সদর উপজেলার সত্যপুর গ্রাম ।
অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত পেয়েছে এ গ্রামটি। এমনিতেই এ গ্রামের ঠাকুর বাড়ির আকাশ মনি, কৃষ্ণচুড়া, দেবদারু গাছে সারা বছর থাকে শত-শত পাখি। শীত এলে এর সাথে যোগ হয় অতিথি পাখি।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সত্যপুর গ্রামে ঠাকুর বাড়ি এলাকার বড়-বড় গাছগুলোতে বসেছে অতিথি পাখির দল। বিশেষ করে বিকাল হলেই বিভিন্ন এলাকার মাঠ থেকে পাখিরা এসব গছের শাখায় অবস্থান নিচ্ছে। যা হয়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন।
সত্যপুর গ্রামের পবিত্র চক্রবর্তী জানান, গত ৭ বছর ধরে পাখিগুলো তাদের গ্রামে আসছে। ঠাকুর বাড়ি এলাকার বড় গাছগুলোতে অবস্থান করছে। প্রথম দিকে পাখিগুলো শীত মৌসুমে এসে চলে যেতো। কিন্তু গত বছর থেকে এগুলো ১২ মাস ধরে সত্যপুর গ্রামে অবস্থান করছে। এলাকাবাসি পাখিগুলো সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
একই গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, তারা এলাকায় পাখি নিধন নিষিদ্ধ করেছেন। এ কারনে অতিথি পাখিগুলো খুব নিরাপদে এই গ্রামে অবস্থান করতে পারছে। সারা দিন তারা বিভিন্ন মাঠে খাবার গ্রহণের পর বিকালে আবার নির্দিষ্ট গাছে ফিরে আসে। এগুলো দেখতে প্রতিদিন বিকালে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করে।
সত্যপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক দুলাল চক্রবর্তী জানান, পাখিগুলো এখন এলাকার পরিবেশ ও সৌন্দর্য্যকে সমৃদ্ধ করেছে। এটা এখন সত্যপুর গ্রামের সম্পদ।
যে কারণে সবাই এগুলো সংরক্ষণে সমানভাবে উদ্যোগী হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ছনপুর গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘লোকমুখে আমরা এই এলাকার পাখির কথা শুনেছি। এখন দেখতে এসে খুব ভাল লাগছে।
সত্যপুর মাধ্যমিক বিদ্যায়য়ের ষষ্ঠ শ্রেণি ছাত্র সুমন শেখ জানান, এতো দিন তারা বইয়ে এসব পাখির কথা জেনেছি। এখন নিজ গ্রামে পাখিগুলো দেখে তারা খুশি। এগুলো তারা কাউকে মারতে দেয় না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাদিউজ্জামান বলেন, আমরা সত্যপুর গ্রামের অতিথি পাখির নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। শুধু সত্যপুর নয় গোটা জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাখি নিধনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা প্রচারপত্র ও বিভিন্ন ধরনের ব্যানার সরবরাহ করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।