অর্থনীতি ডেস্ক : কমপক্ষে ৩ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের অধিকারিদের ‘অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০১৯ সালের শেষে এমন ধনীদের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৪৪ জনে।
গতবছর বিশ্বের শীর্ষ সম্পদশালীদের কাতারে যোগ দিয়েছেন আরও ৩১ হাজার জন। আলোচিত সময়ে শক্তিশালী পুঁজিবাজার এবং স্থায়ী সম্পত্তির মূল্য বাড়ার কারণেই তাদের অবস্থার এমন উত্তরণ।
সম্পদমূল্যের দিক থেকে শীর্ষ ধনীদের বলা হয় আলট্রা হাই নেট ইন্ডিভিজ্যুয়াল (ইউএইচডব্লিউআই)। আর কেউ কমপক্ষে ৩ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের অধিকারি হলেই তাকে ‘অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
২০১৯ সালের শেষে এমন ধনীদের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৪৪ জনে। এর মানে হলো, এখন বিশ্বে অতি উচ্চ সম্পদমূল্য অধিকারী ব্যক্তিদের সংখ্যা আইসল্যান্ড, মাল্টা বা বেলিজ এই তিনটি দেশের জনসংখ্যার চাইতেও বেশি।
সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত পরামর্শক সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্কের এক প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। ফলে ২০২৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বার্ষিক ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে উন্নীত হবে ৬ লাখ ৫০ হাজার জনে।
এর নেপথ্যে অবদান রাখছে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, মিশর এবং ইন্দোনেশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যা এবং অর্জিত সম্পদের বাজারমূল্য বৃদ্ধি।
তবে শুধু অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিদের সংখ্যা নয় তাদের চাইতে একটু কম ধনী বা মিলিয়নিয়ারদের সংখ্যাও বেড়েছে। সাধারণত ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার সমমানের সম্পদশালীরা এই কাতারে পড়েন।
নাইট ফ্রাঙ্ক প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে পুরো বিশ্বে মিলিয়নিয়ার সংখ্যা ৫ কোটি বা স্পেনের জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। ২০১৯ সালের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৯ লাখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।