লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি কফি প্রেমী রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই তাদের সকাল শুরু করেন এক কাপ কফি দিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কফিতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। কিন্তু উপকারী এই পানীয়টি কারো কারো জন্য বিষের মতোও হতে পারে।
আইবিএস : আইবিএস একটি জটিল পেট ব্যাধি। এই রোগে আক্রান্তরা প্রায়ই ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। আর এসব রোগী কফি পান করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কফি থেকে দূরে থাকা উচিত। বিশেষ করে দুধের সাথে কফি তাদের জন্য প্রায় বিষ।
গ্লুকোমা : চোখের এক জটিল রোগ হলো গ্লুকোমা। এই রোগের কারণে ধীরে ধীরে ক্ষীণ হতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। এই রোগে যারা ভুগছেন তাদেরও উচিত কফি পান থেকে বিরত থাকা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করলে গ্লুকোমার সমস্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে।
অনিদ্রার সমস্যা : কফি আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়।
ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার : কফির মধ্যে ডাইউরেটিক্স উপাদান থাকে, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়। আর এ কারণেই কফি পানে ব্লাডার ডিজিজে আক্রান্তদের সমস্যা আরও বাড়ে। বারবার প্রস্রাবে দৌড়াতে হয় তাকে। এমনকি প্রস্রাব লিক করারও ঝুঁকি থাকে। তাই ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা থাকলে আপনাকে অবশ্যই কফি এড়িয়ে যেতে হবে। না হলে সমস্যার শেষ থাকবে না।
অ্যারিদমিয়া : অ্যারিদমিয়ার মতো একটি জটিল হৃদরোগে ভুক্তভোগীরা কফির থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ কফিতে মজুত থাকা ক্যাফেইন সাময়িকভাবে ব্লাড প্রেশার ও হার্ট রেট বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এ কারণে ভয়াবহ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া যাদের এরই মধ্যে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তারাও এই পানীয় এড়িয়ে চলুন।
গর্ভকালে : গর্ভাবস্থায় চা-কফি পান করাই উচিত না। এতে মিসক্যারেজ, প্রিম্যাচিওর লেবার থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা হতে পারে গর্ভবতী মায়ের। সূত্র: ইট দিস নট দ্যাট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।