জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এমনিতেই মানুষের আয়-রোজগার বন্ধ। উপরন্তু বিলম্ব ফি মওকুফ থাকায় এবার অনেককেই একত্রে দিতে হচ্ছে তিন মাসের বিল। এতকিছুর পরও যখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বিদ্যুত বিল বেশি আসে তখন সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েন গ্রাহকরা। দেশের অসংখ্য গ্রাহক এবার এমন অতিরিক্ত বিলের বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিষয়টা স্বীকার করে নিয়ে এর সমাধান বাতলে দিলেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, আমাদের কাছেও এ সংক্রান্ত প্রচুর অভিযোগ এসেছে। আসলে করোনাভাইরাস এই সমস্যার জন্য অনেকখানি দায়ী। মিটার রিডিংয়ের দায়িত্বে যারা আছেন, ভাইরাসের ভয়ে তারা অনেকেই এবার সরেজমিনে গিয়ে সেটা করতে পারেননি। আমাদের নির্দেশনা ছিল, সেক্ষেত্রে গত মাসগুলোর সঙ্গে তুলনা করে বিল তৈরি করতে হবে। এটা করতে করতে গিয়েই অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রে বিল বেশি তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরো বলেন- আমি বেশ কয়েকবার গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করেই বলেছি, আপনাদের যার যে অভিযোগ আছে তা নিকটস্থ অফিসারকে জানান, তারা সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে দেবে। আমাদের যে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো আছে তাদেরকে গ্রাহকের এই সমস্যার কথা জানিয়ে সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি তারা সমাধান না করে তাহলে তার ওপরের কর্মকর্তাকে জানান। যদি তাতেও না হয়, আমাকে মেইল করুন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এমন অনেকেই ইতোমধ্যে আমাকে মেইল করেছেন, সেসব প্রত্যেকটি মেইল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ফরোয়ার্ড করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছি। তাই এ নিয়ে আপনারা হতাশ হবেন না। আমাদের ৪ কোটি গ্রাহকের মধ্যে অন্তত কয়েক লাখ গ্রাহক এবার অতিরিক্ত বিলের বিড়ম্বনায় পড়েছেন। আমরাও চেষ্টা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।