রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ–এর অ্যাফিলিয়েটেড ব্র্যান্ড লিলি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে ব্র্যান্ডটির সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন জনপ্রিয় সব মডেল ও অভিনয়শিল্পীরা। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশেই নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে বিশ্বমানের কালার কসমেটিকস ও প্রসাধনসামগ্রী উৎপাদন করছে লিলি।
কসমেটিকস খাতে ব্র্যান্ডটির পণ্য রয়েছে ১১০ ধরনের। পাশাপাশি স্কিনকেয়ার পণ্যের মধ্যে ক্রিম, পেট্রোলিয়াম জেলি, লোশনসহ ১৭ পণ্য রয়েছে। পারসোনাল কেয়ার ইউনিটে ফেসওয়াশ, বডিওয়াশ, বিউটি সোপ, শ্যাম্পুসহ আছে ১৫টি পণ্য। লিলির পণ্য সম্পর্কে এশিয়ার খ্যাতনামা কসমেটোলজিস্ট ড. সাকুন মাংগুত বলেন, ‘কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য মানুষের ত্বক ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এর প্রতিক্রিয়া মানুষের দেহে সরাসরি দেখা যায়। এ জন্য এসব পণ্য গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বাজারজাত করা সঠিক নয়।
ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশনের সঙ্গে জড়িত সংগঠন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোক্তাদের জীবনে ব্র্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ব্র্যান্ডের উন্নতি তার ব্যবসার পাশাপাশি দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়। আমরা সেসব ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি জানাই, যারা কেবল তাদের ব্যবসায় নয়; বরং সমগ্র জাতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও যথেষ্ট অবদান রেখেছে।
রিমার্ক-হারল্যানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, ‘খুব অল্প সময়েই আমরা বাজারে এসেছি। তারপরও ভোক্তারা আমাদের পণ্যের মান ও ফ্লেভারকে নিজের মনে করে নিয়েছেন। আমরা মনে করি, লিলি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে খুব শিগগির শীর্ষ স্থানে চলে আসবে। আমরা শুধু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিপণন করতে চাই না।
লিলি ব্র্যান্ডের প্রধান নির্বাহী হাসান ফারুক বলেন, ‘আমরা সব কটি পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে এগুলো দেখা যাবে। তবে টেলিভিশন ছাড়া দৈনিক পত্রিকা, ডিজিটাল মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিলবোর্ড, সাইনপোস্ট, শপসাইনসহ প্রচারমাধ্যমে লিলি ব্র্যান্ডের উপস্থিতি দৃশ্যমান হয়েছে।
গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স–২০২৩-এ বাংলাদেশ ৯৭তম স্থানে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ ব্র্যান্ড মূল্য পরিবর্তনে ৩৭ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করে র্যাঙ্কিংয়ে দ্রুততম বর্ধনশীল দেশগুলোর অন্যতম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স–২০২৩ অনুযায়ী ২০২২ সালে ২৯ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সূচকের স্কোর ছিল ৩৫ দশমিক ১। এতে দেশের ব্র্যান্ড মূল্য দাঁড়ায় ৩৭১ বিলিয়ন ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।