স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ মানেই নাটকীয়তা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের আগে ঝড় উঠেছিল বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে। ২০ বছর পর ইংল্যান্ডে ফেরা বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও চমকে দিতে পারে বাংলাদেশ। আজ লর্ডসে মাশরাফি বিন মর্তুজার পরিবর্তে সাকিব আল হাসানকে টস করতে নামতে দেখলে তো চমকে উঠতেই হবে!
গতকাল বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসে মুশফিকুর রহিম কনুইতে ব্যথা পাওয়াতেই ১২ জনের দল ড্রেসিংরুমে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মুশফিকের চোটই একমাত্র কারণ নয়, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ইনজুরিই অন্যতম কারণ। গতকাল অনুশীলনই করেননি তিনি। আজকের ম্যাচ না খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন দলকে। সে ক্ষেত্রে সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আজ টস করবেন। তবে যত দূর জানা গেছে, অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেয়েই রাজি হননি সাকিব। হয়তো তিনিও মনে করছেন চোটের চেয়েও গুরুতর কোনো কারণে পাকিস্তান ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন মাশরাফি।
সেই গুরুতর কারণটি বোধগম্য। বিশ্বকাপে মাশরাফির ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এর সূত্র ধরে তাঁর ওপর অবসর নেওয়ার চাপও তৈরি হচ্ছে। অধিনায়কত্ব কিংবা চোটজর্জর শরীর নিয়ে তাঁর ম্যাচ খেলার বিষয়টিও সমালোচকদের বিবেচনায় নেই। এ নিয়েই কি অভিমানাহত মাশরাফি? প্রশ্নটি উঠছে কারণ, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে তো বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলছেন তিনি। তাহলে শেষ ম্যাচে এমন কী হলো যে বিশ্রাম নিতে হবে?
সাকিবও তাই চট করেই আজকের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করতে রাজি হননি। তবে পরিস্থিতির সবটাই নির্ভর করছে মাশরাফির ওপর। তিনি শেষমেশ না খেললে টস তো করতেই হবে সহ-অধিনায়ককে। আপাতত টস পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচের চিত্রনাট্য ওলটপালট হয় কি না, সেটি জানতে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ এই ইংল্যান্ডেই হয়েছিল। সেবারও বাংলাদেশের শেষ প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। তবে ভেন্যু লর্ডস নয়, খেলা হয়েছিল নর্দাম্পটনে। সে ম্যাচের আগে আচমকা ম্যানেজারের রুমে ডাক পড়েছিল খালেদ মাহমুদের। গিয়ে দেখেন ঘরভর্তি বাংলাদেশ ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকরা! অধিনায়কসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে নাকি দল গড়তে বলা হয়েছিল তাঁকে। পরে আর সে রকম কিছু হয়নি। নিয়মিত অধিনায়কের অধীনে খেলেই পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেদিন মাহমুদ ছিলেন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক। আজ তিনি ম্যানেজার। সেবারের ওলটপালটের প্লটে মিশে ছিল বিতর্ক। এবারেরটায় মিশে আবেগ। মাশরাফি অথবা সাকিব—যিনিই টস করুন না কেন, আবেগের আঁচ থাকবেই তাতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।