জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে (৫৪) পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ নিজে বাদি হয়ে চন্দ্রিমা থানায় দায়ের করা মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ জনকে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমার থানার ওসি শেখ গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে অধ্যক্ষ মামলাটি দায়ের করেন। সিসিটিভির ভিডিও দেখে সাতজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ঘটনার আগে তারা ছাত্রলীগের টেন্টে বসে ছিল। সেখান থেকে এসে তারা আমাকে তুলে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এছাড়া এর আগেও ছাত্রলীগ পরিচয়ে তারা একাধিকবার আমার সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরে। সেসব দাবি না মানায় তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।’
এদিকে কলেজ সূত্রে জানা গেছে, যার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটনো হয়েছে তার নাম কামাল হোসেন সৌরভ। সে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অস্টম পর্বের ছাত্র। তার সঙ্গে ছিল ইলেকট্রনিক্স বিভাগের সপ্তম পর্বের ছাত্র মুরাদ, পাওয়ার বিভাগের সাবেক ছাত্র শান্ত, ইলেকট্রনিক্স বিভাগের সাবেক ছাত্র বনি, মেকানিক্যাল বিভাগের সাবেক ছাত্র হাসিবুল, ইলেকট্রো মেডিকেলের সাবেক ছাত্র টনি, ইলেকট্রো মেডিকেল বিভাগের সপ্তম পর্বের ছাত্র হাসিবুল ও কম্পিউটার বিভাগের সাবেক ছাত্র মারুফ।
এ বিষয়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, কামাল হোসেন সৌরভ পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অন্যদের পদ না থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে তারা সৌরভের অনুসারী।
রিগেন আরও বলেন, ঘটনাটি লজ্জাজনক। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের যারা জড়িত তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ইতোমধ্যেই বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মহানগর কমিটিকে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান রাজিব বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে বহিষ্কারসহ পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম স্থগিতের সুপারিক করে কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাটি তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নামাজ পড়ে অফিসে ফেরার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে ধরে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এর আগে সকালে তারা অধ্যক্ষের কাছে অনৈতিক দাবি না মানায় তারা অধ্যক্ষের উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।