ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের সাভারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এজেআই গ্রুপে গ্যাস চুরির অভিযোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানে গ্যাস বিল বকেয়া ও মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস চুরির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিতাসের ভিজিল্যান্স টিম শনিবার সকালে অভিযান চালালে শ্রমিকরা দলটিকে ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) আব্দুল আলীম রাসেল বলেন, ‘অভিযানে গ্যাস মিটার টেম্পারিং করে চুরির প্রমাণ মিলেছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার দুটি জব্দ করা হয়েছে।’
তিতাসের সাভার কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এজেআই গ্রুপের তিনটি সংযোগ রয়েছে, এর মধ্যে দুটি সংযোগে (সংকেত নম্বর–৩৩৮০০০৪০৪ ও ৮৩৮০০০৪০৪) প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিল বকেয়া। তদন্তে দেখা গেছে, মিটার পরিবর্তন করে গ্যাস চুরি করা হচ্ছিল। এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
অভিযোগের বিষয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি ফ্যাক্টরি ভাড়া দিয়েছিলাম জুয়েল ইসলাম নামে একজনকে। সে বিল না দিয়ে মিটার টেম্পারিং করেছে। এতে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমি নিজে এ ঘটনায় দায়ী নই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব খবর প্রকাশ না করাই ভালো। আমি একজন সেলিব্রেটি, এমন সংবাদ আমার ইমেজের ক্ষতি করতে পারে।’
তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অনন্ত জলিল নিজে গ্রাহক হিসেবে সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি কারখানা কাকে ভাড়া দেবেন, তা তিতাসের বিষয় নয়। সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী চুরি করা গ্যাসের মূল্য ও বকেয়া বিল পরিশোধের পরই সংযোগ পুনরায় দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০ অনুযায়ী, মিটার টেম্পারিং বা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।