জুমবাংলা ডেস্ক : গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেম বাগান এলাকার একটি বাসা থেকে বিটিসিএল উত্তরা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিব উদ্দিনের স্ত্রী মুন্নি রহমান, ছেলে ফারহান উদ্দিন ও মেয়ে লাইভার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার ৮ দিনেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঋণগ্রস্ত হওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন রকিব। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ডায়েরি ও রকিবকে ঘিরেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
রকিবের ডায়রিতে বাড়ির মালিকের স্ত্রী ডলি বেগমের নামে কিছু কথা লেখা রয়েছে। রকিবকে ডলি বেগম ব্ল্যাকমেইল করেছেন এবং তাকে অনেক টাকা দিতে হয়েছে এরকম কিছু কথা লেখা রয়েছে। এসব তথ্য মামলার তদন্তকারী সূত্রের। ডলির সঙ্গে রকিবের অনৈতিক সর্ম্পকের তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তাকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে।ডায়েরিতে রকিব নিজে রেললাইনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দক্ষিণখান থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, সবার আগে রকিবকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। ধারণা করা হচ্ছে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েই স্ত্রী ও শ্বাসরোধে সন্তানদের হত্যা করে পালিয়েছে রকিব। ডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। সববিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে।
মুন্নি ভাই মুন্না রহমান জানান, রকিবকে ছাড়া হত্যা রহস্যের জট খুলবে না। এ ঘটনায় রকিবের সঙ্গে বাড়িওয়ালিরও কিছু ভূমিকা আছে। ওই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে দেখা গেছে, ১২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কোনো ফুটেজ সংরক্ষিত নেই। ওই সময়ে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে খুন ও তাতে ডলির জড়িত থাকার সন্দেহই তাতে দানা বেঁধেছে। তবে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরটি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।