জুমবাংলা ডেস্ক : অনাগত সন্তানের মুখ দেখতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন রানী আকতার। দু-এক দিনের মধ্যে সন্তান প্রসবের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তার সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রানীর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা জামাল মিয়া যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। পটিয়া থানার ওসি মিনহাজ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, রবিবার সকাল ১০টার দিকে রানী আকতারের ঘরে যান প্রতিবেশী হাসনা বানু। নিহত রানীর ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করার পরও সাড়া না পাওয়ায় তার স্বামী শহীদকে খবর দেন হাসনা বানু। পরে স্বামী শহীদ এসে ডাকলেও সাড়া না পাওয়ায় ঘরের টিনের চাল খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন শহীদ। সেখানে দেখতে পায়, রানী ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই আবদুল আলীম জানান, এক বছর আগে করল গ্রামের শহীদুল ইসলামের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে যৌতুকের জন্য তার বোনের ওপর স্বামী-শাশুড়ি শারীরিক নির্যাতন চালাত।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার জসিম উদ্দিন জানান, তাদের সংসার জীবনে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। আমরা স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার মীমাংসা করার জন্য বৈঠক করি।
পটিয়া থানার এএসআই মোকতার হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, যৌতুকের দাবিতে রানী ও তার স্বামীর মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। তার জের ধরে রানী আত্মহত্যা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।