এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-আবুধাবি রুটে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক নোটিশে এ তথ্য জানায় রাষ্ট্রীয় এ বিমান পরিবহন সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার চাকরির ভিসাধারীদের সে দেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তাই আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা-আবুধাবি রুটে বিমানের সকল ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এ নোটিশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে বিমানের ছয়টি ফ্লাইট আবুধাবিতে যেত। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সেটি কমিয়ে দুইটিতে আনা হয় এবং আজ বুধবার এই রুটে ফ্লাইট চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল ঘোষণা করলো রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।
এর আগে গত ১০ আগস্ট এক নোটিশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আন্তর্জাতিক তিনটি গন্তব্য ব্যতীত অন্য সকল রুটের বিমানের ফ্লাইট স্থগিত থাকবে। শুধু দুবাই, লন্ডন ও আবুধাবি রুটে ফ্লাইট চলাচল করা হবে। পাশাপাশি কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে এরই মধ্যে আরব আমিরাত সরকার চাকরির ভিসাধারীদের সে দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ঢাকা-আবুধাবি রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিমান।
বাংলাদেশ বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, অফিসিয়ালি আজকে (বুধবার) আমাদের জানানো হয়েছে আবুধাবি রুটে বিমানের সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আবুধাবি সরকার কর্মসংস্থান ভিসায় প্রবাসীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
যদিও বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, আমি অফিসিয়ালি জানি চারটি থেকে কমিয়ে বুধবার থেকে সপ্তাহে দুটি করে ঢাকা-আবুধাবি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমি অবগত নই।
নতুন এই সিদ্ধান্তে আবুধাবি যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা বিপুল প্রবাসী বাংলাদেশি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। যারা গত সাড়ে চারমাস কভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশে আটকা পড়েছিলেন। প্রথমত ফিরতি টিকেট নিয়ে তাদের চরম ভোগান্তি ছিল, টিকেটের তিনগুন বাড়তি দাম নিয়েও ছিল ব্যাপক ক্ষোভ। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফ্লাইট বাতিলের ফলে আটকে পড়া প্রবাসীরা চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
জানতে চাইলে গালফ ট্রাভেলসের কর্ণধার শাহ আলম বলেন, বিদেশি তিনটি বিমান সংস্থায় আবুধাবির যাত্রীরা চাকরি ভিসা নিয়ে আবুধাবি যেতে পারছে। তবে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা কেন আবুধাবি যেতে পারল না বা তাদের ফেরত পাঠানো হলো তা আমার বোধগম্য না। এয়ার এরাবিয়া, ফ্লাই দুবাই এবং এমিরেটসের ফ্লাইটে আবুধাবি যাত্রীরা চাকরি ভিসায় নির্বিঘ্নে যেতে পারছেন বলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলো আমাদের বলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।