স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে গেল মার্চ থেকে স্থগিত হয়ে আছে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট। বন্ধ হয়ে ছিল ক্রিকেটারদের অনুশীলনও। তবে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য কোরবানি ঈদের এক সপ্তাহ আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুরুতে অল্পসংখ্যক ক্রিকেটার অনুশীলন করলেও সেই সংখ্যা বেড়েছে ঈদের পর। সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, মাহমুদউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন ফিরেছেন মাঠে।
দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকায় ফিটনেসে লেভেল যে অনেকটা নিচের দিকে নেমে গেছে, সেটা স্পষ্টই ধরা পড়েছে সৌম্য ও সাদমানের অনুশীলনে।
মাঠের অনুশীলনে ফেরার দিনগুলোতে বেশিরভাগ ক্রিকেটারের কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে। ইমরুল কায়েস প্রথম দিন অনুশীলন করতে গিয়ে হাতে ফোস্কা ফেলে দিয়েছিলেন।
নিয়মিত ফিটনেস নিয়ে কাজ করা মুশফিকেরও শুরুতে সমস্যা হয়েছে। একই সমস্যায় পড়লেন ব্যাটসম্যান সৌম্য ও তরুণ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সাদমান।
শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড প্রান্ত থেকে অ্যাওয়ে ড্রেসিংরুমের প্রান্ত ৪০ মিটারের মতো। মাত্র এতটুকু দৌড়াতে গিয়েই হাঁফিয়ে উঠেছিলেন সৌম্য-সাদমান! বাসায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পরও এভাবে কাহিল হয়ে পড়ার দৃশ্য স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে ঘর ও মাঠের অনুশীলেন পার্থক্য।
সোমবার (১০ আগস্ট) ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করে রানিং সেশনে অংশ নেন সৌম্য-সাদমান। রানিং সেশনে দুই ব্যাটসম্যানকে ভীষণ ক্লান্ত মনে হয়েছে, যেন দম হারিয়ে ফেলেছেন!
সৌম্য ২০০ মিটার করে মোট ৪০০ মিটারের এক রাউন্ড শেষ করেই শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড প্রান্তে এসে শুয়ে পড়লেন। হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যানের রানিং সেশনের পুরোটা এভাবেই কেটেছে।
সাদমান শুয়ে পড়েননি বটে, তবে সমান দূরত্বের প্রতিটি রাউন্ড শেষ করেই রানিং মার্কে এসে বসে পড়েছেন এবং তাকে ক্লান্তও লেগেছে খুব। দেশের গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্লান্তির কথা গোপন করেননি তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
প্রথম দিনের অনুশীলনের অভিজ্ঞতা তিনি ভাগাভাগি করেছেন এভাবে, আসলে আমি নিয়মিত রানিংয়ের মধ্যেই ছিলাম। গত ১০ দিন রানিং করিনি, তাই হয়তো আজকে একটু কষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া সকাল থেকে গ্যাস্টিকের সমস্যা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে কষ্টই হয়েছে। কাল থেকে আমার সব ঠিক হয়ে যাবে।
সাদমান ইসলামেরও অনুশীলন সেশনে কেটেছে কঠিন সময়। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের শুরুটা অবশ্য করেছিলেন মুশফিক ও মুমিনুল হক। দুজনই সকাল ৯টা থেকে ১১টা অবধি রানিং ও ব্যাটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এছাড়া এনামুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন সূচি অনুযায়ী করেছেন অনুশীলন।
অন্যদিকে দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বোলিং করেছেন একাডেমির সেন্টার উইকেটে। করোনা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম একাডেমির সেন্টার উইকেটটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেনও করেছেন বোলিং অনুশীলন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।