বিনোদন ডেস্ক : দেখতে দেখতে ৫৬ বছর পার করলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। গত ১৫ মে ছিল মাধুরী দীক্ষিতের জন্মদিন। ৯০’র দশকে একের পর এক হিট ছবি দিয়েছিলেন।
যার মধ্যে ‘দিল’, ‘বেটা’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘খলনায়ক’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ সহ রয়েছে একাধিক ছবি। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া খলনায়ক সিনেমা ছিল ওই বছরের সবচেয়ে হিট। অথচ ‘খলনায়ক’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বেশ কিছু শর্ত মেনে কাজ করতে হয়েছিল মাধুরীকে।
নির্মাতারা মাধুরীকে জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই অন্তঃস’ত্ত্বা হওয়া যাবে না। কারণ সে সময় ছবির নায়ক সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ছিল মাধুরীর সম্পর্কের গুঞ্জন। এমনকি চুক্তিপত্রও সই করতে হয়েছিল মাধুরীকে।
বলা হয়, ছবির শুটিং চলাকালীন বিয়ে করা যাবে না, অন্তঃস’ত্ত্বা হওয়াও যাবে না। ছবির শুটিং চলাকালীন প্রথম কোনো প্রযোজক এমন চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিলেন নায়িকাকে। আর কারণটা ছিল সঞ্জয় দত্ত।
সজন, থানেদার ও খলনায়কসহ একাধিক ছবিতে মাধুরীর সঙ্গে কাজ করার সময় তার প্রেম হাবুডুবু খেয়েছেন সঞ্জয়। গুঞ্জন ছিল যেকোনো সময় মাধুরীকে বিয়ে করতে পারেন সঞ্জয়। আর সে কারণেই নাকি মাধুরীকে দিয়ে এমন চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিলেন খলনায়ক নির্মাতারা। বক্স অফিসে অবশ্য ছবিটি সুপারহিট হয়।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় দত্ত যখন মাধুরীর প্রেমে মশগুল, তখন তিনি তার প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার সঙ্গে বিবাহিত। রিচা ছিলেন অসুস্থ, মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি নিউইয়র্কে ছিলেন। তারই মাঝে মাধুরীর কাছাকাছি এসেছিলেন সঞ্জয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হন সঞ্জয়। এ ঘটনায় মাধুরী আর সঞ্জয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মাধুরীর এমন ব্যবহারে সঞ্জয় দত্ত আঘাত পেয়েছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল। এত কিছুর পরেও সঞ্জয় দত্ত বা মাধুরী দীক্ষিত কোনোদিনই তাদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।