বিনোদন ডেস্ক : আজ থেকে প্রচারিত হবে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নতুন সিজন। এই নাটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া শাহরিন। দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন, এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে আবার ফিরলেন আলোচনায়। ফারিয়া শাহরিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহতাব হোসেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্টে’র নতুন সিজন শুরু হচ্ছে আজ থেকে, আপনার চরিত্র নিয়ে বলুন।
নতুন সিজনেও আমি অন্তরা হিসেবেই থাকছি। গত সিজনে দেখা গিয়েছিল নোয়াখালীর অন্তরা ঢাকায় চলে এসেছে। ব্যাচেলর শুভর সঙ্গে রেস্তোরাঁয়ও দেখা যায়। কিন্তু নতুন সিজনে অনেক মজা রয়েছে। আগে বলে ফেললে তো ঝামেলা। তবে একটু বলছি, শুভর সঙ্গে প্রেম গাঢ় হবে। দর্শকরা ওই সিকোয়েন্সগুলোতে মজা পাবেন।
আপনার ক্যারিয়ারে বেশ কয়েক বছর বিরতি রয়েছে। কেন?
আসলে এই সময়ে এসে নতুন প্রজন্ম আমাকে নতুনভাবে চিনতে শুরু করেছে। সেই ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বাংলালিংকের ‘কথা দিলাম’ বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকজন আমাকে চিনেছিল। তারপর ভুলে গেছে। মাঝখানে মালয়েশিয়া গেলাম পড়াশোনা করতে। টানা তিন বছর সেখানে ছিলাম। সেই কারণে একটা গ্যাপ তৈরি হলো। এসে নতুন করে অভিনয় শুরু করলাম। এর মধ্যে ব্যাচেলর পয়েন্টে অভিনয় করতে গিয়ে নতুন করে একটা বড় পরিচয় তৈরি হলো, এখন কিন্তু আমি অন্তরা হিসেবে দারুণ পরিচিত।
পরিচিতিটা কী রকম?
আসলে ব্যাচেলর পয়েন্টের অন্তরা চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে আমি অন্তরাকে ভালোবেসে ফেলেছি। সবাই আমার আসল নামটাই ভুলে গেছে। সবাই দেখলেই বলে এই অন্তরা যাচ্ছে, অন্তরা… এ থেকে অনুমান করা যায়, ব্যাচেলর পয়েন্ট আমাকে নতুন একটা পরিচিতি এনে দিয়েছে। যখন মানুষ একটা ক্যারেক্টারকে বিলিভ করে, তখন এটা একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য অনেক বড় পাওয়া। এই দেখুন, ফারিয়া শাহরিন নামে কেউ ডাকেই না এখন, পর্দার সেই চরিত্রের নাম ধরেই ডাকে, সম্বোধন করে।
বাস্তব আর পর্দার ফারিয়া শাহরিনের মধ্যে পার্থক্য কী?
বাস্তবে ফারিয়া শাহরিন অনেক শান্ত, একটু মাথা গরম হয়, তবে ভালো। ব্যাচেলর পয়েন্ট দেখে যদি বলেন ফারিয়া শাহরিন দুষ্ট, তাহলে হবে না; ওখানের চরিত্র অন্তরা দুষ্ট। সে নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে আমি নোয়াখালীর মেয়ে হলেও বাসায় নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলি না। অভিনয়ের জন্য নোয়াখালীর ভাষা রপ্ত করেছি।
আপনি ব্যাচেলর জীবনের সমাপ্তি ঘটাতে গিয়েও ঘটাচ্ছেন না…
আমি নিজেকে এখনো ব্যাচেলর ভাবছি। যখন সংসার করব, তখন আমি বিয়ের বিষয়টা অনুভব করব। যেহেতু বাগদান হয়েছে, বিয়েটা ঢাকঢোল পিটিয়েই করব। মাঝখানে করোনা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল। প্রতিবছরই ভাবছি এবার উদ্যোগ নেব, কিন্তু হয়ে উঠছে না। তবে এবার সবাইকে জানাতে পারব মনে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।